নির্বাচন ভবনে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ সংক্রান্ত আবেদন পৌঁছে দেয় দলটির একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা মো. আক্তারুজ্জামান।
আবেদনে বলা হয়েছে, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী, ঝালকাঠি, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা করা হয়েছে। আবেদনে ইসির কাছে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিএনপি-ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমাদের দেশপ্রেমিক, পেশাদার, সুশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র সেনাবাহিনীকে নিয়ে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তা খুবই আপত্তিজনক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তারা কোনো দলের বা পক্ষের নয়। কাজেই কারো সেনাবাহিনীকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, পেশাদার বাংলাদেশ সেনাবাহিনার একটি সার্বজনীন মর্যাদা রয়েছে। এই বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বিতর্কিত করতে পারে এমন কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। সবাই এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবে বলে আমরা আশা করি।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে আক্তারুজ্জামান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দেশের সর্বত্র সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও হামলা করছে। আওয়ামী লীগসহ সকল গণতান্ত্রিক দলের ও জোটের অফিস ভাঙচুর করছে। তাদের হামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতাকর্মী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ’। এসব ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে হামলা করে উল্টো নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা মারুফা আক্তার পপি, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবীর কাওছার, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ