ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোট থেকেই ছিটকে পড়লেন নাদিম-চাঁদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
ভোট থেকেই ছিটকে পড়লেন নাদিম-চাঁদ নাদিম মোস্তফা ও আবু সাঈদ চাঁদ, ফাইল ফটো

রাজশাহী: আইনি লড়াই করেও ভোট থেকে ছিটকে পড়েছেন অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা ও আবু সাঈদ চাঁদ। উচ্চ আদালতের আদেশে তাদের উভয়েরই প্রার্থিতা স্থগিত হয়ে গেছে। ফলে নির্বাচনে আর কোনোভাবেই অংশ নেওয়া হচ্ছে না এ দু’জনের।

এর মধ্যে অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা রাজশাহী-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত এবং আবু সাঈদ চাঁদ রাজশাহী-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।

অনেক ‘নাটকীয়তা’ শেষে নাদিম মোস্তফাকে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়।

কিন্তু উচ্চ আদালত তার প্রার্থিতা স্থগিত করেন। আর আবু সাইদ চাঁদ নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফিরে পেলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তার প্রার্থিতা স্থগিত করা হয়।

পরে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতও আবু সাইদ চাঁদের প্রার্থিতার স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। ফলে এ দুই নেতার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সকল পথই বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে, নাদিম মোস্তফা নির্বাচন অংশ নিতে না পারায় কপাল খুলেছে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডলের। তিনিও রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর তাকে বাদ দিয়ে নাদিমকেই চূড়ান্ত প্রার্থী করেছিল দলটির হাইকমান্ড। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশে নজরুল ইসলাম মণ্ডলকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাকে প্রতীক দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এসএম আব্দুল কাদের।

রাজশাহী রিটার্নিং অফিসার এসএম আব্দুল কাদের বাংলানিউজকে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) নজরুল ইসলামকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিতে এখন তার আর কোনো বাধা নেই।

অধ্যাপক নজরুল ইসলামের ছেলে ব্যারিস্টার আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, ঋণ খেলাপির দায়ে অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার মনোনয়ন বাতিল নিশ্চিত জেনে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে তারা রিট করেছিলেন। নইলে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী শূন্য হতো।

ব্যারিস্টার আবু বকর বলেন, সোমবার তার বাবা নজরুল ইসলামকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই পোস্টার ছাপানোও হয়ে গেছে। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে মোট পাঁচজন দলীয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী ডা. মনসুর রহমান, বিএনপির মনোনীত (ধানের শীষ) নজরুল ইসলাম মণ্ডল, জাতীয় পার্টির (লাঙল) অধ্যাপক আবুল হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী (হাত পাখা) রুহুল আমীন ও জাকের পার্টির (গোলাপ ফুল) প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।

অপরদিকে, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদের সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা স্থগিতই থাকছে। হাইকোর্টে প্রার্থিতা স্থগিত হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে নিয়মিত আপিলের আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার তার আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দেন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।

ফলে রাজশাহী-৬ আসন থেকে হ্যাট্রিক জয়ের পথেই রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে প্রার্থী ছিলেন মোট চারজন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু সাইদ চাঁদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন (লাঙল) এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুস সালাম সুরুজ (হাতপাখা)। এর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়লেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
এসএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।