ঝুকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, আরএমপি আওতাধীন এলাকায় নির্বাচন কেন্দ্র ১৯৬টি।
আরএমপি কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ভোটের আগের দিন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) বা একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ মোট ১৭ জন নিরাপত্তাকর্মী।
এর মধ্যে একজন এসআই বা এএসআই, চার জন কনস্টেবল এবং ১২ জন আনসার সদস্য। আর সাধারণ কেন্দ্রগুলোর জন্য একজন পুলিশ সদস্য কমিয়ে দায়িত্বে থাকবেন ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারই প্রথম আনসার বাহিনীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, নির্বাচন কেন্দ্রের পাশাপাশি পুরো আরএমপি এলাকার নিরাপত্তার জন্য টহলে নিয়োজিত থাকবে ৫১টি মোবাইল টিম। এর বাইরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন আরএমপি এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, জেলায় ৪৯৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২০৩টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা।
ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে একজন এসআই ও একজন পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে এসআই দায়িত্বে না-ও থাকতে পারেন। সেগুলোতে দুইজন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্বে রাখা হবে।
এছাড়াও নিরাপত্তা টহলে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল টিম। এর বাইরে র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এসএস/টিএ