বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে জরিপের বিস্তারিত তুলে ধরেন আরডিসির গবেষক ও অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসেন।
তিনি জানান, আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে ২ হাজার ২৪৯ জন ভোটার মতামত দিয়েছেন। জরিপ অনুযায়ী মহোজোট ২৪৮টি আসন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৪৯টি ও অন্যান্য দল তিনটি আসন পেতে পারে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
আরডিসির জরিপে উল্লেখ করা হয়, ভোটারদের ৬০ শতাংশ সমর্থন করেন মহাজোটকে। বিএনপি-জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থন করেন ২২ শতাংশ ভোটার, জেপি ৪ শতাংশ, ১০ শতাংশ ভোটার এখনো অনিশ্চিত, ৩ শতাংশ ভোটার উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আর ১ শতাংশ ভোটার ভোটার ভোট দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
জরিপে বলা হয়, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেখানে মহাজোট ভোট পেয়েছিল ৫৭ শতাংশ। বিএনপি জোট পেয়েছিল ৩৭ শতাংশ ও অন্যরা পেয়েছিল ৬ শতাংশ ভোট। এবারের জরিপের ফল অনেকটা তারই ধারাবাহিকতা।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ফরেস্ট ই কুকসেন জানান, রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হয়ে নির্বাচনের সম্ভাব্য ফল জানাতে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্বাচনের আগে এ ধরনের জরিপের রেওয়াজ রয়েছে। নির্বাচনের আগে এমন ভোট গণনা ও তা কার্যকর করা কঠিন। তবে ভোটারদের ৯৮ শতাংশই এ নির্বাচনে অংশ নিতে চান বলেও জানিয়েছেন তারা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে গবেষক কুকসেন বলেন, আমরা নিরপেক্ষভাবেই এ জরিপ পরিচালনা করেছি। জরিপের জন্য ভোটারদের কাছে ব্যালট পেপার দিয়েছি। সেই ব্যালটে তারা ভোট দিয়েছেন। ব্যালটে ভোট দিতে অস্বীকার করা ও বা ভোট দেওয়ার ইচ্ছা নেই, এমন প্রশ্নও যুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
টিআর/এএ