শফিউল্লাহ আল মুনির বাংলানিউজকে জানান, তার মামা ব্যবসায়ী মীর মহব্বত হোসেন বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্যাংক থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে জিপ গাড়িতে করে তার (মুনিরের) মসজিদ রোডের অফিসে আসছিলেন। এসময় তার সঙ্গে আরেকটি মাইক্রোবাস ছিল।
এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীদের দায়ী করে শফিউল্লাহ আল মুনির আরো জানান, এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন।
এদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৫-২০ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে গাড়িতে হামলা চালায়। এসময় গাড়িতে থাকা লোকজনকেও মারপিট করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ রহমান সেখানে আসেন। এসময় জব্দ করা মালপত্রের লিস্ট করার আগেই তিনি ভাঙচুর করা গাড়িতে থাকা টাকার ব্যাগটি তার গাড়িতে করে নিয়ে যান। এ কথা জানার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামানের নির্দেশে ইউএনও ঘটনাস্থলে এসে আবার টাকার ব্যাগটি ফিরিয়ে দেন।
টাঙ্গাইল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি দু’টি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান সিজার লিস্ট (জব্দ করা মালপত্রের লিস্ট) করার জন্যই টাকার ব্যাগটি তিনি নিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৮
এসআই