উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন কামাল মজুমদার। রাত দিন তিনি যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে।
ভোটাররা বলেছেন, এবার কামাল আহমেদ মজুমদারের জয় পাওয়া অনেক সহজ হবে। কারণ ধানের শীষের মোড়কে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী। বিএনপির সব ভোট পাবেন না জামায়াতের প্রার্থী। তাই সহজেই তিনি বিজয়ী হবেন। এছাড়া ওই এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী জামায়াত নেতাকে অবাঞ্ছিত করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।
অপরদিকে, জামায়াতে ইসলামীর তেমন কোনো দৃশ্যমান প্রচারণা না থাকলেও ভেতরে ভেতরে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এলাকা ঘুরে তাদের নেতা-কর্মীদেরও চোখে পড়েনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪, ১৩, ১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৫ আসন। মিরপুর সেকশন-১৩ ও ১৪ বাইশটেকি, ইব্রাহীমপুর, কাফরুল, বড়বাগ, পীরের বাগ, মনিপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, সেনপাড়া পর্বতা এলাকার এ আসনে দীর্ঘ দিনের পরিচিত মুখ কামাল আহমেদ মজুমদার। পুরো এলাকাজুড়েই তার প্রচার-প্রচারণা জমজমাট। মিছিল-মিটিং, নির্বাচনী ক্যাম্পে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা ফরফুরা মেজাজে আছে।
এই আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদারের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতের সেক্রেটারিকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রমঘন পোশাক শিল্প এলাকার পোশাক-কর্মীরা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। সেজন্য কমতি নেই তাদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণায়। এই আসনের উপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেল প্রকল্প। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বলছেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো চলমান রাখতে আওয়ামী লীগকেই প্রয়োজন।
ভোটারদের উদ্দেশে কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, বার বার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সব সময় আমার চেষ্টা ছিল বৃহত্তর মিরপুরের উন্নয়ন। কতটা পেরেছি বিচারের ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। এবারও আপনাদের সামনে নৌকা প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনাদের মূল্যবান ভোট পেলে ঢাকা-১৫ আসনকে মডেল হিসেবে দাঁড় করার চেষ্টা করবো।
‘মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মুক্ত একটি আধুনিক মিরপুর গড়ে তোলা আমার লক্ষ্য। সবাই মিলে নৌকা মার্কায় ভোট দেই। আসুন দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখি। ’
কাফরুল এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের রায়ে তারা (জামায়াত) যুদ্ধাপরাধী দল। দলের সার্টিফিকেটও নাই। এখন আইছে ধানের শীষে ভোট চাইতে। সেই দিন শেষ। অবশ্য তারা এ আসনে দাঁড়ানোয় মজুমদার সাহেবের ভালো হইছে। তিনি খুব সহজে ভোটে ফের এমপি হবেন।
প্রায় একই কথা বলেন মিরপুর-১৪ নম্বরের বাসিন্দা সাজিদুর রহমান। তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থী হলে একটা কথা ছিলো। ধানের শীষে জামায়াতের প্রার্থী। জেতার সম্ভাবনাও কম।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
এমআইএইচ/ইএস/এমএ