ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রচারণার শেষ দিনে সকাল থেকে মাঠে আ’লীগ নেতাকর্মীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
প্রচারণার শেষ দিনে সকাল থেকে মাঠে আ’লীগ নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণা

গোপালগঞ্জ: প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে মিছিল-মিটিং-এ উত্তাল গোপালগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসন। 

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নৌকার পক্ষে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রাম ও এলাকায় চলছে মিছিল-মিটিং।  

আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক খ্যাত সংসদীয় এ আসনে আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকদের শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে।

প্রার্থী, কর্মী-সমর্থকদের যেন নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। ছুটে চলছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। নানা স্লোগানে ও গানে গানে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গোপালগঞ্জ-০৩ আসনের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে মাইকিং করে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চলছে।

শেখ হাসিনার সমর্থনে ইতোমধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পথসভা ও জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে টুঙ্গীপাড়ায় বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। প্রতিটি সভায় নারী-পুরুষ ও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এসব জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেতারা বক্তব্য রাখেন। চিত্রজগতের নায়ক-নায়িকার উপস্থিতি ভোটারদের বাড়তি আনন্দ জুগিয়েছে। এসব জনসভা থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের শতভাগ ভোট দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। আনন্দ-উল্লাসে চলছে গোপালগঞ্জ-০৩ সংসদীয় আসনের প্রচার-প্রচারণা।

গোপালগঞ্জ-৩ আসনের ভোটার ও জেলা পরিষদের সদস্য কোটালীপাড়ার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা রিনা রানী মণ্ডল বলেন, আমাদের ভোটে নির্বাচিত এমপিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। আমরা নারীরা দল বেধে এ আসনের প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছি। আশা করছি ভোটাররা শতভাগ ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করবেন।

একই এলাকার ভোটার ও সমাজসেবক ছিকটিবাড়ি গ্রামের দেবদুলাল বসু পল্টু বলেন, কোটালীপাড়ায় অন্য কোনো দল নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীকে শতভাগ ভোট দেয়ার জন্য প্রচার প্রচারণা চালিয়েছি।  

গোপালগঞ্জস্থ কোটালীপাড়া সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। দেশ আজ উন্নতির মহাসড়কে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে কোটালীপাড়াবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শতভাগ ভোট দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী বানাবেন। আর এটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তিই শুধু নয়, সৌভাগ্যেরও বিষয়।

একই আসনের ভোটার টুঙ্গীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস বলেন, এখানে জন্মগ্রহন করেছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখান থেকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। দলমত নির্বিশেষে এখানকার ভোটাররা প্রধানমন্ত্রীকে শতভাগ ভোট দিয়ে ৭ম বারের মতো এমপি নির্বাচিত করবেন।

টুঙ্গীপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ আহমেদ হোসেন মির্জা বলেন, নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু থেকে অদ্যাবধি এলাকার নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য ভোট চাচ্ছে, মিটিং-মিছিল ও উঠান বৈঠক করছেন। আশাকরি শতভাগ ভোট পেয়ে শেখ হাসিনা নির্বাচিত হবেন এবং চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।  

গোপালগঞ্জ-০৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার প্রধান সমন্বয়কারী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, আমরা প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে নৌকার জন্য ভোট চেয়েছি। ভোটারদের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পেয়েছি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের মতো গণসংযোগ চালিয়েছি। সাড়াও মিলেছে প্রচুর। আমার ধারণা কোটালীপাড়া ও টুঙ্গীপাড়া উপজেলার ভোটাররা তাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে শতভাগ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।


গোপালগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন জন হেভিওয়েট প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এরা হলেন-গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গোপালগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান।

বিগত প্রতিটি নির্বাচনে এসব আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।  

অপরদিকে, গোপালগঞ্জের এ তিনটি আসন থেকে বিএনপিসহ অন্যান্য দল থেকে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এসব আসনে তাদের প্রচার-প্রচারণা নেই। কোথাও তাদের মাইকিং বা পোস্টার চোখে পড়েনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।