বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের লাহিড়ী পাড়ায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, “বুধবার ঈশ্বরদী আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগকালে প্রকাশ্য দিবালোকে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের ছেলে শিরহান শরীফ তমালের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের সন্ত্রাসী দল হামলা চালায়।
বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে হামলার ঘটনা ঘটেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন দাবির জবাবে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির মনোমালিন্য অনেক আগেই অবসান হয়েছে। হামলার সময় আমি ভূমিমন্ত্রীর ছেলে ও ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি তমালকে লাল রঙের শার্ট পরিহিত অবস্থায় পিস্তল হাতে ঘুরতে দেখেছি। তমাল ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রনির নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়েছে। ”
হুমমি ধমকি দিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরাতে না পেরে, তারা হাবিবুর রহমান হাবিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুস সামাদ খান, সহ সভাপতি মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম সম্পাদক নূর মোহাম্মদ মাসুম, আনিসুল হক বাবু, জেলা যুবদল সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক হিমেল রানা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমানের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী। তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আট জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ কাজ করছে।
নির্বাচনে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮
আরএ