কমলাপুর রেল স্টেশনে সকাল থেকেই উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কাউন্টারগুলোর সামনে হাজারো মানুষের ভিড়।
কমলাপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে কয়েকদিন আগেই ট্রেনের নির্ধারিত আসনের টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে। এখন স্ট্যান্ডবাই (দাঁড়ানো) টিকিট নিচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রা নিরাপদ করতেও নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা।
মো. ইদ্রিস আলী পেশায় এনজিও কর্মী। তিনি নরসিংদী যাবেন নিজ এলাকায় পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে। সকাল সাড়ে ৯টায় তার ট্রেন (তিতাস কমিউটার) হলেও সকাল ৬টায় কমলাপুরে এসে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকে আমার অফিস ছুটি হলেও আজ আমি গ্রামে যাবো। ভোটের পরদিনই আবার ঢাকায় ফিরতে হবে।
তিনি বলেন, গত বছর আমি ভোট দিতে পারিনি। তবে এবার ভোট উৎসবমুখর হচ্ছে দেখে গ্রামে যাওয়া। আশা করি ভালোভাবেই ভোট দিয়ে আবারও কর্মস্থলে ফিরতে পারবো।
আবদুর রাজ্জাক নামে নীলসাগর এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। প্রতি ঈদের গ্রামে যাওয়া হলেও এবার নির্বাচন উপলক্ষে বাড়ি ফিরছি। মনে হচ্ছে, এটা ঈদের আনন্দে ঘরে ফেরা। সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় সত্যিই আনন্দের। তারচেয়ে বড় আনন্দের এবার একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। আশা করি, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবো।
একই কথা জানালেন পাবনার সরিলি ইসলাম। তিনি বলেন, গত ১০ বছর দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে, আবার সরকারের ব্যর্থতাও আছে। সবদিক বিবেচনা করে একটা প্রার্থীকে ভোট দিতে গ্রামে যাচ্ছি। অনেক ভালো লাগছে যে ট্রেনের মধ্যে ভিড়ের মধ্যেও গ্রামের যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, সকাল থেকেই অন্যদিনের তুলনায় যাত্রীদের চাপ বেশি। মনে হচ্ছে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীরা বাড়ি ফিরছেন। যাত্রা নিরাপদ করতেও নেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা। আশা করছি এসব মানুষের ফিরতি যাত্রাও নিরাপদ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
ইএআর/আরআর