টিকিট কাউন্টার সূত্রে ও হেলপাররা বলছেন, বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ ছিলো বেশি। তবে দুপুরে একটু কমেছে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মাদারীপুরের বাসিন্দা শ্যামল সরকার বাংলানিউজকে বলেন, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি মাকে বাড়ি রেখে আসতে বাড়ি যাচ্ছি। নির্বাচনে ভোট দেওয়ার মতো পরিবেশ থাকলে ভোট দেবো। তিনি সোনালি পরিবহনে মা-মেয়েকে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তার মা গত ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় বেড়াতে এসেছিলেন।
খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা মুহিউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ভোট দিতে ঈদের মতো লোকজন বাড়ি যাচ্ছে। ১০ বছর পর ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভালো মানুষকে ভোট দেবো।
হানিফ পরিবহনের চট্টগ্রাম এলাকার যাত্রী ইশতেয়াক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এবার আমার জীবনের প্রথম ভোট। তাই কাজ ফেলে ভোট দিতে বাড়ি যাচ্ছি।
খুলনাগামী সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রুবেল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল যাত্রীদের চাপ ছিলো অনেক বেশি। সকালেও একই অবস্থা। এখন একটু কম তবে রাতে আরো বেশি উপস্থিতি বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, এখন যারা বাড়ি যাচ্ছেন তারা ভোট দিতেই যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম, রাঙামাটি এবং কক্সবাজার এলাকার শ্যামলী পরিবহনের সেলসম্যান হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, মানুষের মনে হালকা আতঙ্ক রয়েছে। ভোট হবে কিনা, ভোট হলেও নিরাপদে বাড়ি ফেরা যাবে কিনা এসব প্রশ্নে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল গভীর রাত অব্দি যাত্রী ছিলো। সকালেও চাপ ছিলো। দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমেছে। ঈগল পরিবহনের কাউন্টারম্যান মো. রাসেলও একই কথা বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
এমএফআই/এএটি