সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে খুলনা-২ ও ৩ নির্বাচনী এলাকা মহানগরীতে অবস্থিত। এছাড়া খুলনা-১ ও ৫ এর কিছু অংশ মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনে রয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম শফিউল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, তিনটি বিষয়কে বিবেচনায় রেখে ভোটকেন্দ্রগুলোকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে লজিস্টিক সাপোর্ট, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা অপ্রতুল এবং অতীতে ওই কেন্দ্রগুলোতে সহিংসতা হয়েছিলো কিনা।
তিনি আরও বলেন, যেসব ভোটকেন্দ্রে যাতায়াতে সমস্যা রয়েছে সেগুলোকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ভোটের সরঞ্জাম আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেল বা স্পিটবোর্ড ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বাংলানিউজকে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১২ সদস্যের টিম ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৪ সদসের টিম থাকবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, আমরা সব ভোটকেন্দ্রকেই সমান গুরুত্ব দিয়েছি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনের ১৮লাখ ৯৮৯জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯লাখ ২হাজার ৯৫০জন এবং নারী রয়েছেন ৮লাখ ৯৮হাজার ৩৯জন। কেন্দ্র ৭৮৬টি ও কক্ষ রয়েছে ৩ হাজার ৮৫৬টি।
২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬ লাখ ৪৩৫জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৮লাখ ৩হাজার ৭১৮জন ও নারী ছিলেন ৭লাখ ৯৬হাজার ৬১৭জন। কেন্দ্র ৭৩৯টি এবং কক্ষ ছিল ৩হাজার ৫৭৩জন। এবার ভোটার, কেন্দ্র ও কক্ষ বেড়েছে।
খুলনা-৬ আসনের মধ্যে খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস (নৌকা), বিএনপির আমীর এজাজ খান (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায় (লাঙ্গল), ইসলামী আনন্দোলনের মাওলানা আবু সাইদ (হাতপাখা), কমিউনিস্ট পার্টির অশোক কুমার সরকার (কাস্তে) নির্বাচন করছেন।
খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), ইসলামী আনন্দোলনের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), গণফ্রন্টের মনিরা বেগম (মাছ), জাকের পার্টির কে এম ইদ্রিস আলী বিল্টু (গোলাপ ফুল), কমিউনিস্ট পার্টির এইচ এম শাহাদত (কাস্তে) এবং বিএনএফর এস এম সোহাগ (টেলিভিশন)।
খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (নৌকা), বিএনপির রকিবুল ইসলাম বকুল (ধানের শীষ), ইসলামী আনন্দোলনের অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাম্মিল হক (হাতপাখা), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের জনাদন দত্ত (মই)।
খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আব্দুস সালাম মুর্শেদী (নৌকা), বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল (ধানের শীষ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেএম আলী দাদ (কোদাল), বিএনএফের মেজর (অব.) শেখ হাবিবুর রহমান (টেলিভিশন), ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আহমেদ শেখ (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির আনসার আলী (গোলাপ ফুল)।
খুলনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (নৌকা), জামায়াতের অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার (ধানের শীষ), সিপিবির চিত্তরঞ্জন গোলদার (কাস্তে), ইসলামী আন্দোলনের শেখ মুজিবুর রহমান (হাতপাখা) ও জাতীয় পার্টির শহীদ আলম (লাঙ্গল)
খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের আখতারুজ্জামান বাবু (নৌকা), জামায়াতের মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের গাজী নূর আহমেদ (হাতপাখা), জাকের পার্টির শেখ মর্তুজা আল মামুন (গোলাপ ফুল), কমিউনিস্ট পার্টির সুবাস চন্দ্র সাহা (কাস্তে) ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির মির্জা গোলাম আজম (টেলিভিশন) ।
খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে খুলনা-২ আসনটিতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
এমআরএম/এএটি