দিনাজপুর-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জুলফিকার হোসেন ও দিনাজপুর-৪ আসনের প্রার্থী মো. মোনাজাত হোসেন চৌধুরী শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
দলীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্দেশ ও প্রত্যাশা অনুযায়ী ভোট থেকে সরে এসেছেন বলে জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, জাতীয় পার্টি মহাজোট গঠন করেছে এবং মহাজোটের হয়ে জাতীয় পার্টি মোট ২৬টি আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছে। এর বাইরেও দলীয় সিদ্ধান্তে ১৩২টি আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা উন্মুক্তভাবে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার পার্টির চেয়ারম্যান তার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা-১৭ আসন থেকে তার নিজের প্রার্থিতা তুলে নিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে সমর্থন করায় পার্টির স্বার্থে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে আমরাও ভোট থেকে সরে দাঁড়ালাম। সেই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন করলাম।
এরপরও দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে জাতীয় পার্টির শাহিনুর ইসলাম ও দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনে সেলায়মান সামি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
দিনাজপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল), দিনাজপুর-২ (বোচাগঞ্জ-বিরল), দিনাজপুর-৪ (খানাসামা-চিরিরবন্দর) ও দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর- ফুলবাড়ী) এ চারটি আসনে মহাজোটের বাইরে জাতীয় পার্টি থেকে উম্মুক্তভাবে প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে দিনাজপুর ২, ৪ ও ৫ আসনে নতুন মুখ যথাক্রমে জুলফিকার হোসেন, মোনজাত চৌধুরী ও সোলায়মান সামি অংশগ্রহণ করেন। ২ ও ৪ আসনে জুলফিকার হোসেন, মোনজাত চৌধুরী সরে দাঁড়ালেও দিনাজপুর-১ আসনে মো. শাহিনুর ইসলাম ও দিনাজপুর-৫ আসনে সোলায়মান সামি নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
শাহিনুর ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালে চেয়ারম্যানের নির্দেশে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। এবার নির্বাচনের মাঠ আমার দখলে। আমি প্রত্যাহার করতে চাই না। আমি ভোট গণনা পর্যন্ত মাঠে থাকবো। পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে, ভোট করার বিষয়ে তার কোনো আপত্তি নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮
এসআই