তিনি বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিএনপি-জামায়াত বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা সৃষ্টি করতে চাইছে। এ বিষয় আমরা উদ্বিগ্ন কিন্তু আমরা কনফিডেন্ট, যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ করেছে দলটি। পরে দলের পক্ষে ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বিষয়টি তুলে ধরেন দলটির প্রতিনিধি দলের প্রধান আক্তারুজ্জামান। আওয়ামী লীগ যখন সহিংস ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেই সময় এসএমএস পাঠিয়ে নির্বাচন ভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াত-বিএনপির হামলায় গত দুই সপ্তাহে আওয়ামী লীগের সাতকর্মী নিহত হয়েছেন। সে বিষয়গুলো কমিশনের কাছে তুলে ধরেছি এবং বিচারের দাবি জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী গত দু’দিন ধরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা যাত কারও নিবাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি না করি এবং কেউ যেন অতিউৎসাহী হয়ে সমস্যা সৃষ্টি না করে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় জাতির কাছে সেই আবেদন জানান তিনি।
কমিশন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলকে তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন দাবি করে তিনি বলেন, সমস্ত বিষয় নিয়ে কমিশন সচিব আপনাদের ব্রিফিং করেছেন। সেটাই আমাদেরও বলেছেন যে, তাদের সামগ্রিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করি, নির্বাচন খুব সুন্দরভাবে হবে এবং ব্যবস্থাপনাগত বিষয়ে কোনো ঘাটতি নেই। সেটি আমাদের অবহিত করেছেন। আমাদের অভিযোগগুলোর বিষয়ে তারা 'কনসার্ন' কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রশাসনকে অবহিত করছেন, তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ বিজয়ের দারপ্রান্তে দাবি করে তিনি বলেন, আর দু’দিন পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এদেশের নিরঙ্কুশ জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে আমরা বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত চক্র নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
এ ষড়যন্ত্রে তাদের মূল সহযোগী হচ্ছে আইএসআই (পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা)। বিএনপি-জামায়াত অসভ্য জোট নির্বাচনকে সামনে রেখে ভয়াবহ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। নির্বাচন পরবর্তী, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে তারা সারাদেশে নৈরাজ্য সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপিয়ে একটি ভূয়া বুথ তৈরি করে নকল ভিডিও বানিয়েও গুজব সৃষ্টি করতে পারে।
দেশের বিভিন্ন জেলা আওয়ামী লীগ ও মহাজোট নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত আছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সব গণতান্ত্রিক দলের ও মহাজোটের অফিস ভাঙচুর মিছিলে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করছে। দেশের কিছু কিছু স্থানে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে সেগুলো নিয়ে মিডিয়াতে লাগাতার মিথ্যাচার অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছে ও তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের মিছিলে, গাড়িবহরে, নির্বাচন কার্যালয়ে ও নেতাকর্মী, সমর্থক ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আমরা ডিসেম্বর মাসে আওয়ামী লীগের কতজন নিহত হয়েছেন এ তথ্য কমিশনে উপস্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের হামলায় একজন আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন এবং ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের হামলায় সারাদেশ আওয়ামী লীগের বেশ কিছু কার্যালয় ভাঙচুর, ছয়টি স্থানে বোমা হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে। এছাড়া অনেকগুলো কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে
বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
ইইউডি/ওএইচ/