রোববার (৩০ ডিসেম্বর) এই কেন্দ্রে চিনারচর ও পেঁচারচর এই দুই গ্রামের ৪ হাজার ৬০০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কিন্তু গত ১৫দিন ধরে দ্বিতল ভবনের এই প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রটি দখল করে রেখেছে মৌমাছির দল।
জানা যায়, শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সমস্ত মৌচাক আগুনে পুড়িয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারো তা দখল করে নেয় মৌমাছির দল। এ নিয়ে এলাকাবাসীর পাশাপাশি ভোটাররা রয়েছে চরম আতঙ্কে।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা শামসুজ্জামান সেলিম ও ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া বেগমসহ এলাকার বাসিন্দারা বাংলানিউজকে জানান, ভোটের দিন যদি কেউ মৌচাকে ঢিল ছুড়ে বা কোনোভাবে মৌমাছিদের বিরক্ত করে তাহলে ভোটারদের একযোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ বাধাগ্রস্ত ও কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার উপক্রম হতে পারে।
স্থানীয় প্রকৃতি সচেতন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিদ্যালয় ভবনে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ২৪টি মৌচাক ছিলো। আমি গত ২৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে আসি। সে সময় তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মৌমাছি তাড়ানো ও মৌচাক নষ্ট করা হয়। এতে করে কয়েক লাখ মৌমাছি মারা যায়। তারপর বাকি মৌমাছিগুলো সাময়িকভাবে উড়ে গেলেও পরে আবার ধীরে ধীরে নতুন করে দেয়ালে বসতে থাকে। এখন বিদ্যালয় ভবনে ১১টি ও আশেপাশের গাছে আরো দুইটি মৌচাক তৈরি করে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে মৌমাছিরা।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল, আবুল তালেব, মাহফুজুর রহমান ক্ষোভ জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এভাবে মৌচাক নষ্ট করায় মৌমাছিরা তাদের বাসস্থান, বাচ্চা ও মধু হারিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে এবং যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে।
এজন্য কেন্দ্রটি পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক নিয়মে মধু আহরণ, মৌমাছি ও মৌচাক অপসারণের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ কবীর বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৮
এনটি