সিলেটের ৬টি আসনে নারী ভোটার ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৪৪ জন এবং পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ৫০ হাজার ৪১০ জন। এসব আসনে ৩০ হাজারের বেশি নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন পছন্দের প্রার্থীকে।
এরইমধ্যে নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সারাদেশের মতো সিলেটের প্রতিটি কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সামগ্রী। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এবারের ভোটে সিলেটের ৬টি আসনে ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর ১৪টি ইউনিট সিলেটে মোতায়েন রয়েছে। প্রতি উপজেলায় বিজিবি ৫০ জন করে সদস্য এবং পুলিশের পাশাপাশি ৬০৫ জন র্যাব সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। নির্বাচনে মোট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন ১৫ হাজার ২৫৪ জন। মোট রিজার্ভ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে আছেন ১৫ হাজার ২৫ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট উপজেলা ১৩টি এবং সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত সিলেটের ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪ প্রার্থী।
সিলেট-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন- আওয়ামী লীগের ড. এ কে আব্দুল মোমেন (নৌকা), বিএনপির খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির (ধানের শীষ), মাহবুবুর রহমান চৌধুরী (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রেদওয়ানুল হক চৌধুরী (হাতপাখা), ইসলামী ঐক্যজোটের (আইওজে) মুহ্ম্মদ ফয়জুল হক (মিনার), ন্যাশনাল পিপুলস পার্টির ইউসুফ আলী (আম), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উজ্জ্বল রায় (কোদাল), বাংলাদেশ সমাজ তান্ত্রিক দল-বাসদের প্রণব জ্যোতি পাল (মই), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আনোয়ার উদ্দিন বুরহানাবাদী (হারিকেন), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা নাসির উদ্দিন (বটগাছ)। এ আসনে ২১৫টি কেন্দ্রে ও ১ হাজার ৭৭ কক্ষে ভোট দেবেন ৫ লাখ ৪৪ হাজার ২১৯ জন ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৯ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৫ জন।
সিলেট-২ আসনে মহাজোটের ইয়াহইয়া চৌধুরী (লাঙল), খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ মুনতাছির আলী (দেওয়াল ঘড়ি), গণফোরামের মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমির উদ্দিন (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপুলস পার্টির মো. মনোয়ার হোসাইন (আম), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র মো. মোশাহিদ খান (টেলিভিশন)। এ আসনে মোট ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৪৫ হাজার ৭ জন এবং ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৯ জন নারী ভোটার। এ আসনে ১২৭টি কেন্দ্রের ৬১৪টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির শফি আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এম এ মতিন বাদশা (হাতপাখা), মো. উছমান আলী (লাঙ্গল), খেলাফত মজলিসের মো. দিলওয়ার হোসাইন (দেওয়াল ঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের হাফিজ মাওলানা আতিকুর রহমান (রিকশা)। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫২০ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬০ হাজার ১৪৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৪৮টি ও ভোটকক্ষ ৬৯৪টি।
সিলেট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ (নৌকা), বিএনপির দিলদার হোসেন সেলিম (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির আহমেদ তাজ উদ্দিন তাহ রহমান (লাঙল), বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মনোজ কুমার সেন (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জিল্লুর রহমান (হাতপাখা)। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮২ হাজার ২৩১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৫ জন এবং নারী ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৬ জন। এ আসনে কেন্দ্র সংখ্যা ১৫৩টি এবং ভোটকক্ষ রয়েছে ৭৭৪টি।
সিলেট-৫ আসনে আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমদ মজুমদার (নৌকা), ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উবায়দুল্লাহ ফারুক (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. নুরুল আমিন (হাতপাখা), গণফোরামের বাহার উদ্দিন আল রাজী (উদীয়মান সূর্য), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. শহিদ আহমদ চৌধুরী (হারিকেন), ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ মতিন চৌধুরী (মিনার) এবং ফয়জুল মুনীর চৌধুরী স্বতন্ত্র (সিংহ)। এ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫১০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৮০ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬১ হাজার ২৩০ জন। এ আসনে ১৫৮টি কেন্দ্র ও ৭২৮টি ভোটকক্ষ রয়েছে।
সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা), বিএনপির ফয়সল আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ), বিকল্পধারা বাংলাদেশের শমসের এম চৌধুরী (কুলা) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আজমল হোসেন (হাতপাখা)। আসনটির মোট ভোটার ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১১৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭৬ জন। এ আসনে ১৯১টি কেন্দ্রে ৮৬৭টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এনইউ/আরবি/