ভোটারদের মধ্যে একদিকে যেমন উৎসবের আমেজ রয়েছে অন্যদিকে রয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
নির্বারিত সময়ে আগেই অনেক কেন্দ্রেই ভোটাদের জড়ো হতে দেখা গেছে।
খুলনা মহানগরীর কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারের চেয়ে সাংবাদিক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যাই বেশি। পিটিআই কেন্দ্রে ও বিকে ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন ভোটার জানান, তারা একটু আগেভাগেই এসেছেন। শীতে আসতে কষ্ট হয়েছে। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনের ১০টি রাজনৈতিক দলের মোট ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৫ জন প্রার্থীর মধ্যে নারী প্রার্থী মাত্র ২ জন। এ নির্বাচনে ছয়টি আসনের ৭৮৬ ভোট কেন্দ্রের ৩ হাজার ৮৫৭টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৯৮৯ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ২ হাজার ৯৫০ জন এবং নারী ভোটার ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯ জন। ছয়টি আসনের মধ্যে খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোট কেন্দ্রের ৭২০টি ভোট কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চলছে।
খুলনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস (নৌকা), বিএনপির আমীর এজাজ খান (ধীনের শীষ), জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায় (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের আবু সাঈদ (হাতপাখা) ও সিপিবির অশোক কুমার সরকার (কাস্তে) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খুলনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধীনের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের আবদুল আউয়াল (হাতপাখা), সিপিবির এইচ এম শাহাদাৎ (কাস্তে), জাকের পার্টির কে এম ইদ্রিস আলী বিল্টু (গোলাপ ফুল), গণফ্রন্টের মনিরা বেগম (মাছ), বিএনএফের এস এম সোহাগ (টেলিভিশন) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (নৌকা), বিএনপির রকিবুল ইসলাম বকুল (ধীনের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের মুজ্জাম্মিল হক (হাতপাখা), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল), বাসদের জনার্দন দত্ত নান্টু (মই) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনের ১১৭টি ভোট কেন্দ্রের ৪৮৫টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম মূর্শেদী (নৌকা), বিএনপির রকিবুল ইসলাম বকুল (ধীনের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আহম্মেদ শেখ (হাতপাখা), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কে এম আলী দাদ (কোদাল), জাকের পার্টির শেখ আনসার আলী (গোলাপ ফুল), বিএনএফের শেখ হাবিবুর রহমান (টেলিভিশন) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খুলনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (নৌকা), জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার (ধীনের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের শেখ মুজিবুর রহমান (হাতপাখা), সিপিবির চিত্তরঞ্জন গোলদার (কাস্তে), জাতীয় পার্টির শহীদ আলম (লাঙল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনের ১৩৩টি ভোট কেন্দ্রের ৬৯৯টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের শেখ আকতারুজ্জামান বাবু (নৌকা), জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদ (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের গাজী নূর আহমেদ (হাতপাখা), সিপিবির সুবাস চন্দ্র সানা (কাস্তে), জাকের পার্টির শেখ মতুর্জা আলম আল মামুন (গোলাপ ফুল), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল) ও বিএনএফের মির্জা গোলাম আজম (টেলিভিশন) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খুলনার ছয়টি আসনে নিরাপত্তায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ১৬ হাজার সদস্য। ৬টি আসনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীর ৯ প্লাটুন, বিজিবি ২০ প্লাটুন ও কোস্ট গার্ডের ১০ প্লাটুন সদস্য রয়েছেন। এছাড়া র্যাবের ২১টি টহল গাড়ি ও ৬টি জিপ নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে। ভোটের মাঠে ৪৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমআরএম/এএটি