তবে তিনি এও বলেছেন, নির্বাচনে যে ফলাফলই আসুক না কেন, আমরা অবশ্যই তা মেনে নেবো। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল আটটায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট শুরুর পর সকাল সোয়া আটটার দিকে রাজধানীর সিটি কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোট দেওয়ার পর তিনি সংবাদমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন।
এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশের মানুষ আমার সঙ্গে আছে। এটাই আমার আস্থার কারণ। তাই আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। তারা আমাদের ভোট দিয়ে আরেকবার তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। যাতে আমরা যেসব উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি। পড়ুন>> **ভোট দিলেন শেখ হাসিনা
দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী নিহত হওয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক, গতকাল (শনিবার) আমাদের চারজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নোয়াখালীতে একজন প্রার্থীর নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত ব্যালট বাক্স ছিনতাই করেছে। গত কয়েকদিনে আমাদের ১০জন নিহত হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা সহিংসতা চাই না। আমরা চাই দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে। ভোট মানুষের মৌলিক অধিকার, সেটা তারা যাকে খুশি তাকে দেবে। পছন্দের প্রার্থী বেছে নেবে। ’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। আই অ্যাম অলওয়েজ কনফিডেন্ট! বিকজ আই ট্রাস্ট মাই পিপল।
ঢাকা-১০ আসনের মধ্যে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভোটকেন্দ্র ঢাকা সিটি কলেজ। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে নূর তাপস।
ভোট দেওয়ার সময় তিনিও শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন। ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদও।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমইউএম/এমএ