রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র বি কে ইউনিয়ন ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর অর্চনা রানী কর্মকার নামে এক ভোটার বাংলানিউজকে বলেন, পদ্ধতিটা নতুন হলেও ভালো লেগেছে ভোট দিতে।
একই কেন্দ্রে সাহেদ রেজা নামে আরেক ভোটার বলেন, ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়ার পদ্ধতিটা ভালো। সারাদেশে এ পদ্ধতি চালু হলে দ্রুত সময় ভোটগ্রহণ ও ফলাফল দেওয়া সম্ভব হবে।
কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, নতুন এ পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে ভোটাররা খুব আগ্রহী। তবে কোথাও কোথাও ধীরগতি চলছে। একেকটি ভোট দিতে প্রায় ৪ থেকে ৫ মিনিট সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে কিছু কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের ভিড় লেগে আছে।
কয়েকজন ভোটারা জানান, সিস্টেমটা ভালো। আঙুলের ছাপ দিলেই ভোটারের ছবি ভেসে ওঠে। তবে ভোট নেওয়ায় একটু দেরি হচ্ছে। অপেক্ষা করতে হলেও সিস্টেমটায় খুশি তারা।
নির্বাচনে খুলনা-২ আসনে লড়ছেন সাতজন প্রার্থী। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল (নৌকা), ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত মহানগর বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), গণফ্রন্টের মনিরা বেগম (মাছ), জাকের পার্টির কে এম ইদ্রিস আলী বিল্টু (গোলাপ ফুল), সিপিবির এইচ এম শাহাদত (কাস্তে) এবং বিএনএফের এস এম সোহাগ (টেলিভিশন)।
খুলনা-২ আসনের ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ২২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৫৯ জন। নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৩ জন। এ আসনে পুরুষের চেয়ে ৭২৪ জন নারী ভোটার বেশি।
এর আগে চলতি বছরে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দু’টি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমআরএম/এএটি