তার মতো বয়সী ভোটারদের উপস্থিতির পাশাপাশি তরুণ-যুবা ভোটাররাও শীতের পোশাকের উষ্ণতা নিয়েই নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে সাত সকালেই হাজির হয়েছেন ভোটকেন্দ্রে। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টার সদর উপজেলার উত্তর দাপুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রেই এমন উপস্থিতি চোখে পড়ে।
একই রকম দৃশ্যের দেখা মেলে গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই উৎসব মুখর পরিবেশ। কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে সকাল ৮ টা থেকেই শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের স্লিপ দেখে ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছেন।
বুথের সামনেই সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটাররা। কারো ধৈর্য্যের চ্যুতি ঘটছে না। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পেরে খুশি সাধারণ ভোটাররা।
রোববার সকাল ৮ টা থেকেই কাঙ্খিত এমন পরিবেশেই চলছে ময়মনসিংহের ১১ টি সংসদীয় আসনের ভোট গ্রহণ। এই উৎসব অটুট থাকবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
নিরাপদে ভয়হীন পরিবেশে দূর দূরান্ত থেকেও ভোট দিতে আসছেন ভোটাররা। প্রায় ১০ বছর পর ভোট দিতে পারায় বেশিরভাগ ভোটার স্বত:স্ফূর্ততা নিয়েই মাড়িয়েছেন ভোটকেন্দ্রের পথ, এমনটিই বলতে শোনা গেলো অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি চাকুরে ভোটার আব্দুল কুদ্দুসের (৬৫) কন্ঠে।
ভোটের দিন হওয়ায় সারা দেশের মতো ময়মনসিংহেও সরকারি ছুটি। পাশাপাশি যন্ত্রচালিত যানবাহন বন্ধ থাকায় যানশুন্য নগরীতে পায়ে হেঁটেই ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন ভোটাররা।
নগরীর গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার অরূপ বন্ধু দাম বাংলানিউজকে জানান, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ১৯৯ জন। ভোটাররা উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন।
গুরুত্বপূর্ণ ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে ৫ জন প্রার্থী ভোট করলেও মূল লড়াইটা সীমাবদ্ধ মহাজোটের প্রার্থী, জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ (লাঙল) ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদের (ধানের শীষ) মাঝে।
এই আসনের মোট ১৭৬ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এখানে মোট ভোটার ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৭৮ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৫৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএএএম/এমকেএম