রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে সচিব দেখা না করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে বলেন।
পরে তিনি নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি আমার নিজের এলাকার অনেক সেন্টারে ঢুকতে পারিনি।
ববি হাজ্জাজ বলেন, ইভিএমের কেন্দ্রে ‘অভিনব’ কায়দায় কারচুপি করা হচ্ছে। আমরা তো আগে ভেবেছিলাম মেশিন ম্যানিপুলেশন হবে। এখন তো ভোটকেন্দ্রই দখল হচ্ছে। দু’ভাবে ইভিএমের কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করা হচ্ছে। প্রথমতো বুথে গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে লাঙল মার্কার লোকেরা ভোটারকে বলছে কোথায় ভোট দেবেন? আর এনআইডি কার্ড নিয়ে সেখান থেকেই বের করে দেওয়া হচ্ছে।
ইভিএমে ভোট দেওয়ার জন্য আঙুলের ছাপ ও এনআইডি নম্বর দিয়ে ব্যালট ওপেন করা যায়। তারপর বুথে গিয়ে ভোট দিতে হয়। কারো আঙুলের ছাপ না মিললে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ২৫ শতাংশ ব্যালট পেপার নিজে ওপেন করতে পারেন।
এবারই প্রথমবারের মতো দেশে সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ঢাকা-৬ ও ১৩, খুলনা-২, রংপুর-৩, সাতক্ষীরা-২ ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের পুরোটাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
প্রিন্স মুসার ছেলে ববি বলেন, আমাদের যেসব কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- গেন্ডারিয়া হাইস্কুল, কবি নজরুল কলেজ, শের-ই বাংলা হাইস্কুল, মনিজা রহমান বিদ্যালয়, সেন্ট জোসেফ স্কুল, সূত্রাপুর কমিউনিটি সেন্টার, কেএল জুবলি স্কুল, ফরাসগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টার, সিলভার ডেল স্কুল, ইস্ট বেঙ্গল স্কুল, ওয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সাঈদ খোকন কমিউনিটি সেন্টার।
‘এসব কেন্দ্রে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশিদের কর্মী সমর্থকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। তাদের হামলায় আমার চারজন গুরুত্ব আহত হয়েছেন। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কেন্দ্রে এনডিএম প্রার্থীর এজেন্টকে কাজী ফিরোজ রশীদ নিজেই মেরে বের করে দিয়েছে। ’
ববি হাজ্জাজ বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ২শ জনের মতো লোক বাইরে অবস্থান করছে। আর কেন্দ্রের ভেতরে ভোটকক্ষে ৪০-৫০জন করে অবস্থান নিয়েছে। এসব অনিয়মের কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ১২টি কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া অভিযোগ করেছি। কিন্তু বন্ধ করা হয়নি। এদিকে নির্বাচন কমিশনও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ইসি সচিব বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া অভিযোগ তারা পেয়ে যাবেন। এখন কি আর করবো।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ আসনের ভোটগ্রহণ চলছে। সবগুলো (৩৯টি) নিবন্ধিত দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে এই নির্বাচনে মোট ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৭৩৩ জন আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২৮ জন।
নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ও শরিকদের মিলিয়ে নৌকা মার্কায় ২৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর বিপরীতে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও শরিকদের প্রার্থী রয়েছেন ২৮২ জন। আর সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলনের। এই দলটি ২৯৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
ইইউডি/এএ