তিনি বলেন, তার কর্মীদের গ্রেফতার করা করা হচ্ছে। তারপরও ভোটের মাঠ ছাড়বেন না বরং জেতার ব্যাপারে আশাবাদী রয়েছেন তিনি।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নগরীর কিন ব্রিজ সংলগ্ন সারদা হল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন অভিযোগ তুলে করেন তিনি।
তার অভিযোগ, নগরের আখালিয়া বীরেশচন্দ্র কেন্দ্রে ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আম্বরখানা মডেল স্কুলে বিভিন্ন অজুহাতে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। শাহজালাল জামেয়ায় ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিলো। পশ্চিম পীর মহল্লার গৌছ উদ্দিন স্কুলে দেড়ঘণ্টা ধরে দখল করে ভোট দখলের উৎসব চলেছে। বালুচর সেন্টার দখল হয়ে গেছে। এখন এটা নৌকার অধীনে।
এছাড়া সদর উপজেলার মোগলগাঁওয়ে সাবেক বিজিবির সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তার এজেন্টদের পিটিয়ে বের করে দিয়েছেন। পুরুষ এবং নারীরা ভোটারদের তুচ্ছ অজুহাতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এই হচ্ছে মোটামুটি চিত্র।
এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তাদির বলেন, রিটানিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করে কী লাভ? আমরা বারবার প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।
নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালেও রিটার্নিং কর্মকর্তার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এক ডজনের উপরে অভিযোগ দিয়েও কোনো লাভ হয়নি। প্রতিকার না পেলে খাতা-কলমের খরচ করে কি অন্তত সান্ত্বনা আছে? তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন বলেন তিনি।
এ আসনে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ছোট ভাই ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
নির্বাচনে মোট উপজেলা ১৩টি এবং সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত সিলেটের ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪ প্রার্থী। ৬টি আসনের ভোটার রয়েছেন ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৭ জন। এরমধ্যে নারী ভোটার ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৪৪ জন এবং পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ৫০ হাজার ৪১০ জন। এসব আসনে ৩০ হাজারের বেশি নতুন ভোটার প্রথমবারের মতো নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন পছন্দের প্রার্থীকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এনইউ/এএটি