সংঘর্ষের সময় ভোটকেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকটি ব্যালট বক্স ছিনতাই করে নিয়ে গেলে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিবপুরের কুন্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মাহাবুব মৃধা বাংলানিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন জানিয়েছেন, বেলা ১১টার দিকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী জহিরুল হক ভূইয়া মোহন কেন্দ্র পরিদর্শন করে চলে যান। পরে দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। ওই সময় জাল ভোট দেয়ার অভিযোগ তুলে নৌকার সমর্থকরা সিরাজুল ইসলাম মোল্লাকে একটি কক্ষে তালা মেরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে আধা ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় তার সমর্থরা। এ নিয়ে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় নৌকার এজেন্ট মিলন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে কিছু লোক এসে কয়েকটি ব্যালট বক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সব ঘটনা কেন্দ্রের সীমানার বাইরে ঘটে।
শিবপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) খায়রুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল হক ভূইয়া মোহনের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে জাল ভোট দেয়া শুরু করেন। এসময় মিলন বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে নৌকার প্রার্থী অস্ত্র-শস্ত্রসহ সন্ত্রাসীদের নিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে জাল ভোট মারা শুরু করেন। এভাবে তিনি সব কেন্দ্র দখল করে নেন। আমি সেখানে গেলে আমাকে একটি রুমে তালা মেরে রাখেন। আধাঘণ্টা পর আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮/আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা
আরএ