রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে একে একে ৬ প্রার্থী ভোট বর্জন করেন খুলনা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী আমীর এজাজ খান, একই আসনের মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনিল শুভ রায়, খুলনা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং পুলিশের বিরুদ্ধের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন তারা।
মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, ভোট গ্রহণের এক ঘণ্টার ভেতরে খুলনা- ৫ আসনের সব ভোটকেন্দ্রের কক্ষের দরজা বন্ধ করে নৌকা প্রতীকে জাল ভোট দেওয়া হচ্ছে। ভোট গ্রহণের পর থেকে শত শত ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে ডুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বেশ কিছু নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। যারা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কেন্দ্রে ডুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী, রিটানিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। যে কারণে এ প্রহসনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
সুনিল শুভ রায় অভিযোগ করে বলেন, বটিয়াঘাটার ১০৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৭টি কেন্দ্রই নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা দখল করে নিয়ে জাল ভোট দিচ্ছেন। শুধু মাত্র আমার কেন্দ্রেটি দখল করেনি। এরকম কলঙ্কিত ভোট আমি কোনো দিন দেখিনি। সকাল থেকেই আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন তাদের ব্যালট পেপার টেবিলের উপর রেখে সিল দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এখানে কোনো সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে না। তাই আমি সকাল সাড়ে দশটা থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি।
খুলনা-৬ আসনের ধানের শীষের আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী এজেন্ট অ্যাডভোকেট শাহ আলম বাংলানিউজকে নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রকিবুল ইসলাম বকুল অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ ও সরকারি কর্মী-সমর্থকেরা তাকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। তাই তিনি এ প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করছেন।
আমীর এজাজ খান অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, জাল ভোটের এ নির্বাচন আমি বর্জন করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমআরএম/আরআইএস/