এলাকার হোটেলে চা-নাশতা খেয়ে ভোট দিতে চলে এসেছেন। সঙ্গে এসেছেন আরো দুই অশীতিপর বৃদ্ধ লাল মিয়া (৮০) ও আব্দুল গফুর (৭৫)।
ভোটের উৎসবে নিজেকে সামিল করতে পেরে তৃপ্তির হাসি জামশেদের মুখে। নিজের অনুভূতি জানিয়ে বললেন, ‘শেখ মুজিবের আমল থেইক্যা (থেকে) ভোট দেই।
৫ বছর আগে ভোট দিতে পারি নাই (নেই)। এইবার সুযোগ হাতছাড়া করি নাই। ভোট দিবার (দিতে) পাইরা (পেরে) অনেক ভালা (ভালো) লাগতাছে (লাগছে)।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার ৫৫ নং গন্দ্রপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের বাইরে কথা হচ্ছিলো জামশেদ আলী’র সঙ্গে। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়া তার দিকেই চোখ সবার।
ভোট দিতে এসে কোনো রকমের বিপত্তির মুখে পড়তে হয়নি জামশেদের। বিশেষ করে নিজের এই ভোটকেই তিনি ধরে নিয়েছেন জীবনের ‘শেষ’ ভোট হিসেবে।
ঠিকমতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন, এই কথা ভেবেই যেন আনন্দের ঢেউ তার মুখায়বে। জামশেদ বলেই ফেলেন, ‘হয়তো এইড্যাই (এটিই) আমার শেষ ভোট। পছন্দের মানুষকেই ভোট দিবার (দিতে) পারছি, এইডাই (এটিই) খুশির।
জামশেদ ভোট দিতে এসেছিলেন আরো দুই বয়োবৃদ্ধ লাল মিয়া (৮০) ও আব্দুল গফুরকে (৭৫) সঙ্গে নিয়ে। এবার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরে গতবারের ভোট দিতে না পারার কষ্ট ঘুচেছে তার।
তৃপ্তির আভা ছড়িয়ে লাল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীরেই ভোট দিছি (দিয়েছি)।
পাশেই দাঁড়ানো আব্দুল গফুরের সরল উচ্চারণ- এলাকার উন্নয়ন করতে পারবেন এমন মানুষকেই ভোট দিয়েছি। আমার মূল্যবান ভোটেই তিনি সংসদে যাবেন।
ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মূল দুই প্রার্থী রওশন এরশাদ ও আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ এই তিন বৃদ্ধের কাছে ভোট চাইতে না গেলেও তাদের কর্মী-সমর্থকরা একাধিকবার তাদের ভোট দিতে উৎসাহিত করেছেন। ফলে নির্বাচনী প্রচারণার উত্তাপ স্পর্শ করেছে তাদেরকেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএএএম/এএটি