তিনি বলেছেন, আমাদের নেতাকর্মী ও সবার প্রতি আহ্বান জানাই- ভোটগ্রহণ শেষ হওয়া ও ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত আপনারা কেন্দ্রে অবস্থান করুন। আর যারা এখনও ভোট দেননি, তারা তাড়াতাড়ি নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।
রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নানক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশজুড়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে উৎসবমুখর ভোটগ্রহণ চলছে। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবার সহিংসতা অনেক কম হয়েছে, যা গত ৪৭ বছরেও হয়নি। আগে বিভিন্ন সময় এর চেয়ে অনেক বেশি সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তবে এবারও কিছু কিছু জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা চালায়। আরও অনেক হতাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিলো! তারা (বিএনপি-জামায়াত) অনেক চেষ্টাও করেছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তা হয়নি। যেসব জায়গায় হয়েছে এর শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগ। গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের ১০ জন কর্মী নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা হামলা করে আমাদের এসব কর্মীকে হত্যা ও আহত করেছে। বিভিন্ন জায়গায় ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।
‘তাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার থেকে শুরু করে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যও। তারা ভোটকেন্দ্রে পেট্রোল বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করেও ভোটারদের আতঙ্কগ্রস্ত করেছে। ’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এসকে/এমএ