রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা-১৩ আসনের বেগম নূরজাহান মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথ ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমনটাই। তবে মাঝে মাঝে আঙুলের ছাপ না মেলায় একটু ঝামেলা হয় বলে জানিয়েছেন এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার স্বপন কুমার মিস্ত্রী।
কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ভোটাররা ভোট দিতে আসেন ভোটকেন্দ্রে। এসময় নতুন ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা প্রায় সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন ইভিএম পদ্ধতিকে।
এ প্রসঙ্গে এই এলাকার নতুন ভোটার ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফা জাহান বলেন, ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট দেওয়া খুবই সহজ। এটি ভোট দেওয়ার সময় কমিয়ে দেয়। এছাড়া এর মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র একটি ভোটই দিতে পারবেন। কারণ ইভিএম সংশ্লিষ্ট ভোটারের বাটনের প্রথম চাপটিকেই নিবন্ধন করে নেবে।
ব্যালট পেপার এবং ইভিএম মেশিনের পার্থক্য করে মধ্যবয়সী আসমা বেগম জানান, ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে তো ঝামেলা মনে হলো না। এর আগে ব্যালট পেপারে ভোট দিয়েছি। তবে দুটোর মধ্যে ব্যালটের তুলনায় ইভিএমটাই ভালো লেগেছে।
কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ইভিএম দু'টি যন্ত্রের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে কন্ট্রোল ইউনিট এবং অপরটি হচ্ছে ব্যালটিং ইউনিট। প্রিজাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিট চালাবেন। তিনি কন্ট্রোল ইউনিট থেকে ব্যালটিং ইউনিট সক্রিয় করে দেবেন। তখন ভোটার ব্যালট বাটন চেপে তার তথ্য নিবন্ধন করবেন। এই তথ্য নিবন্ধিত করার মাধ্যমে একজন ভোটার কেবলমাত্র একবারই ভোট দিতে পারবেন। পরবর্তী ভোটারের জন্য পুনরায় প্রিজাইটিং অফিসার ব্যালটিং ইউনিট সক্রিয় করে দেবেন।
নির্বাচনের পরিবেশ এবং ইভিএমের ব্যবহার প্রসঙ্গে এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার স্বপন কুমার মিস্ত্রী বলেন, এখানে নির্বাচন বেশ সুষ্ঠু পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালের দিকে মানুষ একটু কম আসলেও আস্তে আস্তে জনসমাগম বাড়ছে। এছাড়া ইভিএম ব্যবহারে জনগণের কথোপকথন শুনে যা বুঝেছি, তাতে তারা অনেক খুশি। তারা খুশি এই অর্থে যে, এতে ঝামেলা কম। মাত্র দু'টি বোতামে টিপ দিয়েই তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।
প্রিজাইডিং অফিসারের দেওয়া তথ্যমতে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ৮টি বুথে মোট ভোট গ্রহণ হয় ৪৪৬ জনের, যা মোট ভোটারের ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। এই কেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৫০৫ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এইচএমএস/এসএম/এএটি