রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে খুলনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, খুলনা-১ আসনের ১০৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন বিশ্বাস পেয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৯ ভোট।
খুলনা-২ আসনের (ইভিএম) ১৫৭ কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল পেয়েছেন ১ লাখ ১২ হাজার ১শ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ২৭ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়েছেন।
খুলনা-৩ আসনের ১১৭ কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের বেগম মন্নুজান সুফিয়ান পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮০৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রকিবুল ইসলাম বকুল ২৩ হাজার ৬০৬ ভোট পেয়েছেন।
খুলনা-৪ আসনের ১৩১ কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম মুর্শেদী পেয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ২১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল ১৪ হাজার ১৮৭ ভোট পেয়েছেন।
খুলনা-৫ আসনের ১৩৩ কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের নারায়ন চন্দ্র চন্দ পেয়েছেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৭২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের (জামায়াত) মিয়া গোলাম পরওয়ার ৩২ হাজার ৯৫৯ ভোট পেয়েছেন।
খুলনা-৬ আসনে ১৪১ কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের শেখ মো. আকতারুজ্জামান বাবু পেয়েছেন ২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের (জামায়াত) আবুল কালাম আজাদ ১৯ হাজার ২৫৭ ভোট পেয়েছেন।
খুলনার ৬টি সংসদীয় আসনে ১০টি রাজনৈতিক দলের মোট ৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে দুপুর পর্যন্ত কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া এবং পুলিশের বিরুদ্ধের ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে ৬ প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
তারা হলেন- খুলনা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী আমীর এজাজ খান, একই আসনের মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী সুনিল শুভ রায়, খুলনা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা-৫ ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমআরএম/এসএইচ