ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী ছয়টি আসনের সবগুলোতে মহাজোট প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের বিপরীতে সহজ জয় পেয়েছে।
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে মহাজোট প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ লাখ ৩ হাজার ৪৭৯ ভোট।
রাজশাহী-২ (সদর) আসনে মহাজোট প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৩২৭ ভোট।
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মহাজোট প্রার্থী আয়েন উদ্দিন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজার ৩৮৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শফিকুল হক মিলন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮০ হাজার ৮০৬ ভোট।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে মহাজোট প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৪১২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের আবু হেনা ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ১৫৭ ভোট।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে মহাজোট প্রার্থী ডা. মনসুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মণ্ডল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬৮৭ ভোট।
রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে মহাজোট প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ২ হাজার ১০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকে আবদুস সালাম সুরুজ পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৭১ ভোট।
রাজশাহীতে এবার মোট ভোটার ১৯ লাখ ৪২ হাজার ৫৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭১০ এবং নারী ভোটার ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫২ জন। এ জেলায় এবার নতুন ভোটার ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৫ জন। আর ভোটকেন্দ্র ৬৯৫টি। মোট ভোটকক্ষ ৪ হাজার ১৩৪।
রাজশাহীর ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে চারজন, রাজশাহী-২ আসনে চারজন, রাজশাহী-৩ আসনে পাঁচজন, রাজশাহী-৪ আসনে চারজন, রাজশাহী-৫ আসনে পাঁচজন ও রাজশাহী-৬ আসনে তিনজন। এর মধ্যে পাঁচটি আসনে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী রয়েছে। শুধু রাজশাহী-৬ আসনে ধানের শীষের কোনো প্রার্থী ছিল না।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এসএস/এমজেএফ