২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনেও যশোরের ৬টি আসনে জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
যশোর-১ (শার্শা): এ বিজয়ী হয়েছেন শেখ আফিল উদ্দিন।
যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা): এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেজর জেনারেল (অব.) মো. নাসির উদ্দিন। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির বিএম সেলিম রেজা কাঁঠাল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ২৪ ভোট, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের মো. আলাউদ্দিন মই প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৯১ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের মো. আসাদুজ্জামান হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩ ভোট, গণফোরামের এম আছাদুজ্জামান উদীয়মান সূর্য পেয়েছেন ৭ ভোট ও জাতীয় পার্টির ফিরোজ শাহ্ লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১হাজার ১৮২ ভোট।
যশোর-৩ (সদর): এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭১০ ভোট। জাতীয় পার্টির মো. জাহাঙ্গীর আলম লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৯ ভোট, জাকের পার্টির মনিরুজ্জামান মনির গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৬৭, বিকল্পধারার মারুফ হাসান কাজল কুলা প্রতীকে পেয়েছেন ৯১৪ ও জেএসডির সৈয়দ বিপ্লব আজাদ তারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫ ভোট।
যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসন: এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের রণজিত কুমার রায়। তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ১৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির টিএস আইয়ুব। তিনি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৮৭৪ ভোট। জাতীয় পার্টির মো. জহুরুল হক লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯৭৮ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের নাজমুল হুদা হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৫৭, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির লে. ক. (অব.) এম শাব্বির আহমেদ কাঁঠাল প্রতীকে পেয়েছেন ৭৪২, বিকল্পধারা বাংলাদেশের নাজিম উদ্দিন আল আজাদ কুলা প্রতীকে পেয়েছেন ৯৯, ন্যাশন্যাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আম প্রতীকে পেয়েছেন ২০৯ ও জাকের পার্টির লিটন মোল্লা গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১হাজার ৯৬৯ ভোট।
যশোর-৫ (মণিরামপুর): এ বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বপন ভট্টাচার্য্য। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। তিনি ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬২১ ভোট। জাতীয় পার্টির এমএ হালিম লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৮৪ ভোট, ইসলামী আন্দোলনের ইবাদুল হক খালাসি হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৭০৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বারী ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫৭, জাগপার নিজাম উদ্দিন অমিত হুক্কা প্রতীকে পেয়েছেন ১২৪ ও জাকের পার্টির রবিউল ইসলাম গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৭ ভোট।
যশোর-৬ (কেশবপুর): এ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ইসমাত আরা সাদেক। তিনি নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৬। তার নিকটমত প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল হোসেন আজাদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৭৩ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের আবু ইউসুফ বিশ্বাস হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১হাজার ১৭০ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. মাহবুব আলম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫১ ও জাকের পার্টির মো. সাইদুজ্জামান গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮৫ ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
ইউজি/এসএইচ