সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় নির্বাচন কমিশন মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য দেন।
বিজয়ের মাসের শেষ তারিখের শুভেচ্ছা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শুরু করেন সিইসি।
তখন সিইসি বলেন, ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ব্যাপক ভোটারের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। জাতি কতোটা ভোট উৎসবে মেতেছিল, কেবল দেশি নয়, বিদেশি গণমাধ্যমেও তা আমরা দেখেছি।
তিনি বলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সারাদেশের ১৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাচনে ১৪ জনের প্রাণ ঝরেছে। তবে নির্বাচন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশনের একার প্রচেষ্টায় এই কর্মযজ্ঞ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। আপনাদের সবার অংশগ্রহণে এটা সম্ভব হয়েছে। সবাই যেভাবে সহায়তা করেছে, তাতে আমরা ধন্য। এই ভোটে যারা অংশ নিয়েছেন এবং সহায়তা করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
এই নির্বাচনের মাধ্যমে যে নতুন সরকার গঠিত হবে, তাদের নেতৃত্বে দেশ আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিইসি।
এরপর সিইসি এক প্রশ্নের জাবাবে বলেন, জনগণ যেভাবে ভোট দিয়েছে, সেভাবেই ভোট হয়েছে। এটাতো আমাদের কিছুই না। আমরা নতুনভাবে আর নির্বাচন করবো না। আমরা নির্বাচন যেভাবে করেছি, তারপর আর নির্বাচন করার সুযোগ নেই। তাছাড়া নির্বাচন নিয়ে কারও লজ্জা পাওয়ারও কিছু নেই।
‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। আমরা সারাদিন মিডিয়ায় দেখেছি, কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ আমরা দেখিনি। ’
এসময় আরেক প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে আমরা খুবই তৃপ্ত, সন্তুষ্ট এবং আশাবাদী। তখন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, এটা একটা বানোয়াট অভিযোগ।
নির্বাচনের গেজেট কবে নাগাদ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে আরও তিন থেকে চারদিন লাগবে, তারপর গেজেট হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
আরএম/টিএ