ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইসির নির্দেশনায় বিএনপির সুবিধা, অসুবিধায় আ’লীগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
ইসির নির্দেশনায় বিএনপির সুবিধা, অসুবিধায় আ’লীগ

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনায় বিএনপির জন্য সুবিধা হলেও আওয়ামী লীগের জন্য অসুবিধা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

‘সিইসি আওয়ামী লীগ নেতাদের হয়ে কাজ করছে’, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের যে সিদ্ধান্ত সেটি হচ্ছে দেশের মন্ত্রী এমনকি এমপিরাও প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

সংসদীয় গণতন্ত্রে অন্যান্য দেশে বিষয়টি এরকম নয়। ভারতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও মন্ত্রী হিসেবে যে সুযোগ-সুবিধা পায়, সেগুলো বাদ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারে, এমপিরা তো পারেই। ইংল্যান্ডে মন্ত্রী এবং এমপিরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারে। পৃথিবীর অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে এমপি এবং মন্ত্রীরা সরকারি প্রটোকল এবং সুযোগ-সুবিধা বাদ দিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারে।

‘কিন্তু আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশনের যে নির্দেশনা- মন্ত্রী এমনকি এমপিরাও প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না, এই নির্দেশনা বিএনপিকে সুবিধাজনক অবস্থায় নিয়ে গেছে। এই নির্দেশনা বিএনপির জন্য সুবিধা হয়েছে, আওয়ামী লীগের জন্য অসুবিধা হয়েছে। ’

হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা দেখেছেন নির্বাচন কমিশন আমাদের উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রার্থীকে নোটিশ দিয়েছে, বিএনপিকে কিন্তু নোটিশ দেয়নি। এই বিষয়গুলো যদি আমরা দেখি তাহলে দেখা যায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বা নির্বাচন কমিশনের যে কার্যক্রম এতে বিএনপি সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছে।

‘বিএনপির যে বক্তব্য এটি তাদের বেলায় প্রযোজ্য। কিন্তু সিইসিসি’র বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণে আওয়ামী লীগ অসুবিধাজনক অবস্থায় আছে। ’

বিএনপির সংকট প্রধানমন্ত্রী সমাধান করতে পারবেন না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘জাতি হতাশ হয়েছেন’ মন্তব্যের জেরে এক প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা মনে করে দেশের সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক। তাদের দাবি হচ্ছে, সহসা আরেকটি নির্বাচন দেওয়া। এই দাবি কিন্তু জনগণের নয়, বিএনপির দাবি।

‘রাজনৈতিক সমস্যা দেশে নাই, রাজনৈতিক সমস্যা আছে বিএনপির মধ্যে। বিএনপির মধ্যে নেতৃত্বের দুর্বলতা এবং দিক নির্দেশনাহীন যাত্রা; সব মিলিয়ে বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক সংকট রয়েছে। বিএনপির রাজনৈতিক সংকট তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমাধান করতে পারবেন না। দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট নাই। ’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সেটি যেমন ব্যাখ্যা করেছেন, একইসঙ্গে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান সেটিও বলেছেন। দুর্নীতি, অনিয়ম-অনাচারের বিরুদ্ধে যে অভিযান তিনি শুরু করেছেন, সেটি অব্যাহত সেটিও বলেছেন। তিনি এও বলেছেন, আমি বলবো না আমরা সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছি। আমাদের নিশ্চয়ই অনেক ক্ষেত্রে দুর্বলতা ছিল। সেটিও তিনি স্বীকার করেছেন।

‘প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন দেশের মানুষ সেই বক্তব্যকে অভিনন্দন জানিয়েছে, দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। বিএনপি খুশি হতে পারেনি স্বাভাবিকভাবে। কারণ বিএনপির যে দাবি এবং প্রত্যাশা সেগুলো একান্ত নিজের দাবি, এগুলো জনগণের বিষয় নয়। সেই কারণে বিএনপি হতাশ হয়েছে, দেশের মানুষ খুশি হয়েছে। ’

এসময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এবং ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীসহ ডিআরইউ’র অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।