ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

জরিপে ২ সিটিতেই বিশাল জয় পাবে নৌকা: জয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
জরিপে ২ সিটিতেই বিশাল জয় পাবে নৌকা: জয় সজীব ওয়াজেদ জয়

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানিয়েছেন তার নিয়োজিত একটি টিমের পরিচালনায় জনমত জরিপ বলছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে শেখ ফজলে নূর তাপস ও ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে জয়ী হবেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি ) দিনগত রাতে সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়ে এই জনমত জরিপ প্রকাশ করেছেন।

জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বিশাল জয় পেতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্খী শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হবেন। সজীব ওয়াজেদ জয়ের পোস্ট।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইশরাক হোসেন পাবেন মাত্র ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। জাতীয়পার্টির (জাপা সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন পাবেন ২ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। তবে, ঢাকা দক্ষিণে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার সিদ্ধান্ত নেননি। অন্যদিকে ভোট দিবেন না ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটার। একইভাবে ঢাকা উত্তরেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান বিশাল। এখানে বড় জয় পাবেন আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী। জয়ের জরিপ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র নির্বাচনে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হবেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্খী তাবিথ আউয়াল পাবেন মাত্র ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট।   ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাপার মেয়রপ্রার্থী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) কামরুল ইসলাম পাবেন ১ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট। এই সিটিতে সিদ্ধান্ত নেননি ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে ০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিবেন না এছাড়া ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়ার বিষয়ে কোন উত্তর দেননি। সজীব ওয়াজেদ জয়ের জরিপ। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রকাশিত জরিপ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের মেয়র নির্বাচন নিয়ে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে একটি জনমত জরিপ করিয়ে ছিলাম। উত্তরের ভোটারদের মধ্যে জরিপে অংশ নেন ১ হাজার ৩০১ জন ও দক্ষিণে অংশ নেন ১ হাজার ২৪৫ ভোটার। ভোটার লিস্ট থেকে রেন্ডম স্যাম্পলিংয়ের মাধ্যমে তাদের বাছাই করা হয়।

জরিপটি করা হয় সামনাসামনি, অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে নয়। মক ব্যালটের মাধ্যমে এই জরিপটি করার কারণে আমরা বা জরিপকারী কারোরই জানার সুযোগ থাকে না কে কাকে ভোট দিলো। জরিপ করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল পদ্ধতি এটি। নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় মানুষ জরিপে অংশগ্রহণ করতে পারে। তারপরেও যারা কোনো অপশনই বেছে নেয় না তাদের ভোট দেয়ার সম্ভাবনাই কম কারণ সাধারণত কোনো নির্বাচনেই ১০০ শতাংশ ভোট পড়ে না। এই জরিপের ফলাফল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা +-৩ শতাংশ।

জয় আরও বলেন, জরিপটি করা হয় যখন দলগুলো তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। তাই জরিপের সঙ্গে আসল ফলাফলের কিছুটা পার্থক্য হতেই পারে। তারপরেও সেই পার্থক্য ৫-১০শতাংশের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ১০শতাংশের বেশি ভোট কোনো দলের পক্ষেই পরিবর্তন করে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা কঠিন। তাই এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় শুধু নিশ্চিতই নয়, ব্যাপক ব্যবধানে জয়ও নিশ্চিত।

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এমআইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।