ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে আ’লীগের মিলন জয়ী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
বাগেরহাট-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে আ’লীগের মিলন জয়ী

বাগেরহাট: বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন।

বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৪৫ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রি পেয়েছেন মাত্র ৩ হাজার ৭ ৪৪ ভোট।

আর ১ হাজার ৬৩০ ভোট বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী। এসব মিলে এ আসনে সর্বমোট ৫৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।

শনিবার (২১ মার্চ) রাতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও বাগেরহাট-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকতা মো. ইউনুচ আলী তার কার্যালয়ে বসে এই ফলাফল ঘোষণা করেন এবং আমিরুল আলম মিলনকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত করেন। এসময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

>>>বাগেরহাট-৪ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
 
জানা গেছে, দুই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে ১৪৩টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫১০ জন ভোটার ছিল। এরমধ্যে এক লাখ ৫৮ হাজার ৭৯১ জন পুরুষ ও এক লাখ ৫৭ হাজার ৭১৯ জন নারী ভোটার। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পাঁচজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালস করেছে। এছাড়া ২৩ জন নির্বাহী, দুইজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ২১টি ভ্রাম্যমাণ দল, ১০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ১০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১০টি টিম সার্বক্ষণিক মাঠে ছিল।

গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাট-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ বিএনপি ও জাপার তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করে। বিএনপি দলীয় প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের ঝণ ও কর খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপিলেও বাতিল হয় কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়নপত্র। এর ফলে এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এনটি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।