ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

করোনায় নির্বাচনী সংকট: রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে হবে ইসিকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
করোনায় নির্বাচনী সংকট: রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে হবে ইসিকে

ঢাকা: করোনার কারণে স্থগিত সংসদীয় নির্বাচনগুলোর সাংবিধানিক নব্বই দিন সময়কাল পার হয়ে গেছে। এখন বাকি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) হাতে থাকা নব্বই দিন সময়। সে সময়ও যদি শেষ হয়ে যায় কী করবে নির্বাচন কমিশন। সেটিই বাতলে দিলেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা।

বুধবার (২০ মে) ইসি কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় অনলাইনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে করণীয় জানিয়ে দেন তিনি।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের শূন্য আসনে আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে  নির্বাচন (উপনির্বাচন) অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

দ্বৈব দুর্বিপাক হলে এই সময়ের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সিইসি তার ক্ষমতাবলে ভোটের আয়োজন করতে পারেন। পরবর্তী ওই নব্বই দিনের মধ্যেও ভোট করা সম্ভব না হলে নির্বাচন কমিশন মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শ করে সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করতে পারে। এই সুযোগ রয়েছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার সময় এখনো হয়নি। আমরা এ বিষয়টি আলোচনা করেছি। ঈদের পরে আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাব।

গত ২৯ মার্চ যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভোট গ্রহণের সপ্তাহখানেক আগে তা স্থগিত করা হয়।

বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি এবং যশোর-৬ শূন্য ২১ জানুয়ারি। সে অনুযায়ী সংবিধানে প্রদত্ত নব্বই দিন সময় পার হয়ে গেছে। দ্বৈব দুর্বিপাকজনিত নব্বই দিন বর্তমানে সিইসির হাতে আছে। অর্থাৎ আসন শূন্য হওয়ার মোট ১৮০ দিন সময়ও পার হয়ে যাবে জুলাই মাসে। এক্ষেত্রে বগুড়া-১ আসনে ১৫ জুলাই এবং যশোর-৬ আসনে ১৮ জুলাই ভোটের সময় শেষ হবে।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে না পারলে রাষ্ট্রপতির কাছেই যেতে হবে ইসিকে।

এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুর কারণে গত ২ এপ্রিল শূন্য হয় পাবনা-৪ আসন। এ আসনে উপ-নির্বাচন করতে হবে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে।

করোনার কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ বেশ কিছু স্থানীয় নির্বাচনও স্থগিত করতে হয় ইসিকে।

এ নিয়ে সিইসি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করে দেবে সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ। তারা যেভাবে বলবে নির্বাচন কমিশন সেইভাবে নির্বাচন করবে। আপদকালীন কোনো কারণে সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে  সরকার নির্বাচন স্থগিত রাখতে পারে। পিছিয়ে দিতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
ইইউডি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।