ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের ভোটে প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০
ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের ভোটে প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা বিষয়ক এক নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে অপ্রকৃতিস্থ, সাজাপ্রাপ্তসহ প্রার্থী হওয়ার নানা অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে।

ইসি উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের জারি করা ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে- আদালত থেকে কোন ব্যক্তি যদি’ অপ্রকৃতিস্থ’ বলে ঘোষিত হন, তবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার যোগ্য-অযোগ্যতার বিধানে এমনটিই বলা হয়েছে সংবিধানে। সংবিধানে ৬৬ অনুচ্ছেদের দফা ১ ও ২ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং ২৫ বছর বয়স হলে সংসদের সদস্য নির্বাচিত হতে এবং সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন। এটিকে যোগ্যতা হিসেবে ধরা হচ্ছে।

আবার এই যোগ্যতা থাকলেও অন্য কারণে একজন ব্যক্তি অযোগ্য হতে পারেন। এক্ষেত্রে কোন উপযুক্ত আদালত থেকে তিনি অপ্রকৃতিস্থ হিসেবে ঘোষিত হলে, দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে, কোন বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে তা অযোগ্যতা হিসেবে গণ্য হবে। তবে পরবর্তীতে যদি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন কিংবা পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন, তবে অযোগ্য হবেন না।

কোন ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ড পেলে, কারাভোগের পর পাঁচ বছর সময় অতিবাহিত না হলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।

এছাড়া ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীনে যে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হয়ে থাকলে এবং প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে আসীন থাকলেও সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হতে হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৭ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২০ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ২৭ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার)। আর ভোটগ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর। পুরো ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। ভোটগ্রহণ করা হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে। আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ডেমরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও মতিঝিল থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে।

নওগাঁ-৬ আসনের ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে। আর সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

৬ মে বার্ধক্যজনিত কারণে হাবিবুর রহমান মোল্লা মারা গেলে ঢাকা-৫ আসনটি শূন্য হয়। গত ২৭ জুলাই ইসরাফিল আলম করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে নওগাঁ-৬ আসনটি শূন্য হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২০
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।