ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

২ অপারেটর চাকরিচ্যুত, মামলা দায়ের ইসির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
২ অপারেটর চাকরিচ্যুত, মামলা দায়ের ইসির চাকরিচ্যুত জুয়েল বাবু ও আজম শাহী

ঢাকা: দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগে দুই জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে চাকরিচ্যুত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে।

অভিযুক্ত জুয়েল বাবু লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসে এবং এস এম আজম শাহী সদর থানা নির্বাচন অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কমিনিউকেশন কনসালট্যান্ট শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অবৈধভাবে ভোটার করার প্রচেষ্টার অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলা ও সদর উপজেলার দুই জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত ০৪ অক্টোবর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস আইডিইএ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এছাড়াও দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের মাধ্যমে ভোটার করায় লালমনিরহাটের আদিতমারি উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জুয়েল বাবু ও সদর থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এস এম আজম শাহীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন প্রকল্প পরিচালক। এ প্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর ওই দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেন সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আজাদুল হেলাল।

মামলার বিবরণে বলা হয়, লালমনিরহাট অফিসে কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জুয়েল বাবু বিনা অনুমতিতে ছুটির দিনে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের আরেক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এস এম আজম শাহীর সাথে যোগসাজশে অনিবাসী/ঠিকানাবিহীন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে ভোটার করার চেষ্টা করেন। গত ২০ জুন সকাল সাড়ে দশটার দিকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুয়েল বাবু ও এস এম আজম শাহী ভোটারদের উপজেলা সার্ভার কক্ষে নিয়ে এসে ভোটার নিবন্ধন করাতে দেখতে পান উপজেলা সদর নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজাদুল হেলাল।

এ সময় ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের কাছে মোছা. আফরোজা বেগম, মো. মাসুম ও মো. সোহেল নামে তিনটি আবেদন ফরম দেখতে পান, পরে সার্ভার যাচাই করে অল্প সময় আগে নতুন ভোটার হওয়ার নিবন্ধন ডাটা পাওয়া যায়।

আর্থিক প্রলোভনে পড়ে তারা গোপনে ভোটারদের ডেকে এনে নিবন্ধন করেছেন বলে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারে কাছে স্বীকার করেন। পরে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে ওই দুই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাছে বিনা অনুমতিতে ছুটির দিনে অফিসে এসে ভোটার অযোগ্য ব্যক্তির নিবন্ধনের জন্য বায়োমেট্রিক ডাটা গ্রহণের বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাখ্যা ও জবাব চাওয়া হয়।  প্রদত্ত ব্যাখ্যা আইন সংগত না হাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

এছাড়াও লালমনিরহাট সদর উপজেলা থানা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর এস এম আজম শাহীর বিরুদ্ধে গত ৩১ আগস্ট রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ ছাড়া অনিয়ম করে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই দিন মো. মমতাজ উদ্দিন, মোছা. জাহানারা বেগম ও মো. সাজ্জাদ হোসেন নামে তিনজন ব্যক্তি অফিসে উপস্থিত না হয়েই ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদন করেন। তাদের আবেদন ফর্মে কোনো কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছিল না। পাশাপাশি ১৩ নম্বর ফর্মের প্রথম পৃষ্ঠা স্ক্যান করা হলেও দ্বিতীয় পৃষ্ঠার পরিবর্তে পুনরায় প্রথম পৃষ্ঠা আপলোড করা হয়েছে। যা নিয়ম বহির্ভূত বলে এনআইডি উইং এর কাছে প্রতীয়মান হয়। উপরোক্ত বিষয়েও ব্যাখা চাওয়া হলে প্রদত্ত ব্যাখ্যা আইন সংগত না হাওয়ায় এস এম আজম শাহীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।