ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

টানা ৩৫ বছর ধরে কাউন্সিলর, লড়ছেন এবারও!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
টানা ৩৫ বছর ধরে কাউন্সিলর, লড়ছেন এবারও! কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ মানিক

ফেনী: দুয়ারে কড়া নাড়ছে ফেনী পৌরসভা নির্বাচন। ৩০ জানুয়ারি ৩য় ধাপের এই পৌর নির্বাচনে মাঠে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

নির্বাচনী এ লড়াইয়ে আলাদা করে আলোচনায় আছেন ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ মানিক।  

টানা ৩৫ বছর মেম্বার-কমিশনার ও কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেছেন এই প্রার্থী। ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভায় রূপ পেয়েছে, কমিশনার পদবী পরিবর্তন হয়ে কাউন্সিলর করা হয়েছে। তবুও নড়চড় হয়নি মানিকের। ওই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি তিনিই।  

এবারও শক্ত অবস্থানে মানিক। স্থানীয়রা বলছেন, এবারও তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন। কারণ তার বিপরীতে রয়েছেন বিএনপি সমর্থিত দুই প্রার্থী, আ’লীগ থেকে তিনি একাই।  

স্থানীয়রা জানান, ১৯৮২ সালে বারাহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ থাকাকালীন তরুণ বয়সে মেম্বার নির্বাচিত হন মানিক। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। পরের মেয়াদে ১৯৮৭ সালেও মেম্বার নির্বাচিত হন।  

এরপর ফেনী পৌরসভায় রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে টানা ৫ বারই যথাক্রমে কমিশনার ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হন মানিক। ২০১৫ সালের বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়া ছাড়া বাকি ৬ বারই তিনি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। পৌরসভার মেয়র নুরুল আবছারের মেয়াদকালে প্যানেল মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

ফেনী জেলা নির্বাচন কমিশন অফিস জানায়, এ ওয়ার্ডে ২ হাজার ৯শ ৩১ জন ভোটার রয়েছেন।  

এখানে টানা সাতবারের জনপ্রতিনিধি মানিকের সঙ্গে ভোটের দৌড়ে কেউ না টেকায় বিএনপিও কাউকে দলীয় সমর্থন দেয়নি। তবে যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও বেলাল হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে দলের নেতাকর্মীদের দেখা যাচ্ছে না।  

নাছির উদ্দিন খোকন জেলা ছাত্রদল সভাপতি এসএম সালাহউদ্দিন মামুনের বড় ভাই হওয়ায় তাকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। অবশ্য রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় নির্বাচনী কৌশল হিসেবে দল থেকে প্রকাশ্য ঘোষণা আসছে না। তাই মানিকের সঙ্গে অন্য কারো প্রতিদ্বন্ধীতা হবে কিনা সংশয় রয়েছে।  

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোনো রাজনৈতিক দলের উল্লেখ করার মতো পদ-পদবী না থাকলেও ভোটের সময় আওয়ামী লীগের সমর্থন লাভে মানিকের জুড়ি নেই। এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে জানিয়েছেন, মানিক দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুখে-দু:খে পাশে রয়েছেন। এ কারণে তিনি ভোটারদের কাছে প্রিয়।

মোহাম্মদ মানিক জানান, দল-মত নির্বিশেষে তিনি এলাকার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য। ফলে টানা সাতবার পর্যায়ক্রমে মেম্বার, কমিশনার ও কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছি। কার সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধীতা হবে তা নিয়ে তিনি ভাবতে চান না। অতীতে যারা তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তারা জামানতও পাননি বলে তার দাবি।

ডালিম প্রতীকের প্রার্থী নাছির উদ্দিন খোকন বলেন, পরিবর্তনের লক্ষ্যে তিনি সব ভোটারদের সমর্থন আশা করেন। ভোটাররা নিশ্চয়ই ডাকে সাড়া দেবে।  

গাজর প্রতীকে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন বেলাল। তিনি বলেন, মানুষ ভোট দিতে চায়- যদি তারা ভোট দিতে পারে তাহলে তিনি এই এলাকার কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন।  

তবে স্থানীয়রা বলছেন, প্রার্থী যারাই থাবুক বিপুল ভোটে মানিকই আবার নির্বাচিত হবেন, কারণ ভালো-মন্দে দীর্ঘদিন এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১ 
এসএইচডি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।