ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিলেটের দুই পৌরসভায় নৌকা ডুবিয়ে বিজয়ী বিদ্রোহীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
সিলেটের দুই পৌরসভায় নৌকা ডুবিয়ে বিজয়ী বিদ্রোহীরা

সিলেট: তৃতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে সিলেটের দুই পৌরসভা গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জে মেয়র পদে দলীয় বিদ্রাহীদের কাছে ধরাশায়ী হলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। দু’টি পৌরসভার কোনোটিতে বিদ্রোহীতে পাত্তা পেলো না নৌকা।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ  অনুষ্ঠিত হয়। গণনা শেষে গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় আমিনুল ইসলাম রাবেলকে মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নয়টি কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোটে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি জগ প্রতীকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৮৫১ ভোট পাওয়ায় বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলু মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ৫৪৮ ভোট। ধানের শীষে বিএনপির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া শাহীন চার হাজার ২২২ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রুহেল আহমদ নৌকা প্রতীকে এক হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন।

গোলাপগঞ্জ পৌরসভায় নয়টি কেন্দ্রে মোট ২২ হাজার ৯১৬ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয় ১৬ হাজার ৫৩টি। এর মধ্যে ২৫৭ ভোট বাতিল হলেও বৈধ ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৭৯৬টি। প্রদত্ত ভোটের হার ৭০ দশমিক ৫ শতাংশ।  

এদিকে সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী ‍রিটার্নিং কর্মকর্তা শাদমান সাকিব বাংলানিউজকে বলেন, দিনভর শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ শেষে গণনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) আব্দুল আহাদ নারিকেল গাছ প্রতীকে মাত্র দুই ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সর্বোচ্চ দুই হাজার ৮৩ ভোট পাওয়ায় তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক (বহিষ্কৃত) ফারুক আহমদ জগ প্রতীকে দুই হাজার ৮১ ভোট পেয়েছেন।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসলামী সংগঠন আল ইসলাহ’র পৌর সভাপতি হিফজুর রহমান মোবাইল প্রতীকে পেয়েছেন এক হাজার ৯৬৫ ভোট, নৌকা প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন ৬৬৯ এবং বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তপাদার ধানের শীষে ৬০৭ ভোট, লাঙল প্রতীকে জাতীয় পার্টির আব্দুল মালেক ফারুক ৭৫৯ ভোট, চামচ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৮৫, হাঙর প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফরুল ইসলাম পেয়েছেন এক হাজার ১৫৬ ভোট।

এ পৌরসভায় নয়টি কেন্দ্রে মোট নয় হাজার ৫২৫ জন ভোটারের মধ্যে নয় হাজার ৭৪০টি ভোট কাস্ট হয়। এরমধ্যে বাতিল হয় ২১৫ ভোট। ফলে বৈধ ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় নয় হাজার ৫২৫টি। শতকরা ৭৯ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সহকারী ‍রিটার্নিং কর্মকর্তা সাকিব।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
এনইউ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।