ঢাকা: সদ্য অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সংক্ষুব্ধদের ‘সুবিচার’ পাওয়ার সুবিধার্থে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এছাড়া ট্রাইব্যুনালে সুবিচার পাননি মনে করলে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীর সুবিধার্থে আপিল ট্রাইব্যুনালও গঠন করে দিয়েছে সংস্থাটি।
ইসির সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানান, ট্রাইব্যুনালে পৌর নির্বাচনের সংক্ষুব্ধ প্রার্থী ফলাফল বাতিল চেয়ে নিজেকে জয়ী ঘোষণা, সামগ্রিকভাবে সংশ্লষ্টি পৌরসভায় নির্বাচন বাতিল এবং নির্দিষ্ট কোনো ভোটকেন্দ্রে পুনঃভোটের জন্য মামলা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীকে নির্বাচনী ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করতে হবে। ট্রাইব্যুনাল তা ১৮০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী সে নিষ্পত্তি নিয়ে সন্তুষ্ট না হলে, ট্রাইব্যুনালের রায়ের ৩০ দিনের মধ্যে আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। আপিল কর্তৃপক্ষ তা ১২০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে।
ইসির সহকারী সচিব শাহীনুর আক্তারের ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয়টি জানা যায়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় দেশের ৫৬টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, ৫৫টি পৌরসভায় মেয়র পদে ২২১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ৭৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬১৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। আর ফেনীর পরশুরাম পৌরসভায় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোটগ্রহণের প্রয়োজন পড়েনি। ফলে ২৯টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এবং ২৬ টি পৌরসভায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যুগ্ম জেলা জজকে নিয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল এবং জেলা জজকে নিয়ে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনালের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
ইইউডি/এএ