ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌর নির্বাচন হচ্ছে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
‘২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌর নির্বাচন হচ্ছে না’ .

যশোর: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নির্বাচন করতে চায় কমিশন।

আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন শেষ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোরের কেশবপুরে পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আদেশের কপি আমরা হাতে না পাই। অনেক সময় টেলিভিশনে সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা প্রচার করা হয়। তখন আমরা মনে মনে প্রস্তুতি নেই কী করতে হবে। আদেশের কপি পাওয়ার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়। এজন্য হাইকোর্টের নির্দেশে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নতুন আদেশ পেতে সময় লাগবে। ফলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি যশোর পৌরসভার নির্বাচন করা সম্ভব না। কারণ এতদিন নির্বাচনের কোনো কার্যক্রম করা যায়নি। সময় নষ্ট হয়ে গেছে। এ সময়টা দিতে হবে প্রার্থীদের। মোটামুটি ১৪/১৫ দিন সময় দিতে হয় প্রার্থীদের। এটা আমরা পাইনি।

তিনি বলেন, মার্চে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কারণ ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হবে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচনটি সম্পন্ন করা যেতে পারে। তারপরও বলবো যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নুরুল হুদা বলেন, দেশে শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে ৬০ শতাংশের ওপর মানুষ ভোট দিচ্ছে। মিডিয়াতেই বলা হয় কেন্দ্রে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। নারীরা দীর্ঘ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছে। পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলেই নারীরা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়। ফলে নির্বাচন সঠিক, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব স্থানেই নির্বাচনে কিছু সহিংস ঘটনা ঘটে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হলে মানুষের মধ্যে সহনশীলতার অভাব দেখা দেয়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দ্রুত প্রশমনও করে। ফলে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, মানুষ ভোট দিচ্ছে না, প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না এসব কথা মানতে একেবারেই রাজি না আমি।

কেশবপুর পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনার এর আগে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম আরাফাত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে এ বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
ইউজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ