ঢাকা: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাড়ে ৫ লাখ টাকা এবং সদস্য প্রার্থী ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
সব প্রার্থীর ব্যয়সীমা সংক্রান্ত এ নির্দেশনা সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় হিসেবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। এছাড়া ব্যক্তিগত খরচ হিসেবে ব্যয় করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা।
এদিকে সাধারণ ও সংরক্ষিত পদপ্রার্থীরা নির্বাচনী খরচ হিসেবে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা এবং ব্যক্তি খরচ হিসেবে ১০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।
প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় তার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি খরচ করতে পারবেন না। যা কোনো তফসিলি ব্যাংকের নতুন একটি অ্যাকাউন্টের থেকে পরিচালিত হতে হবে।
নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যয়ের তথ্য দাখিল করতে বাধ্যবাধকতাও দিয়েছে ইসি।
নির্দেশনায় এসব তথ্য ভোটারদের মাঝে প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
অন্যদিকে প্রার্থী তার ব্যয়ের উৎস হিসেবে ইসি নির্দেশিত খাতের বাইরে যেতে পারবেন না। এক্ষেত্রে প্রার্থীর পেশা থেকে আয়, পিতা-মাতা, ছেলে-মেয়ে, স্বামী-স্ত্রী আর ভাই-বোন (অন্য কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে ধার বা ঋণ নেওয়া যাবে না) থেকে ধার বা ঋণ হবে ব্যয়ের উৎস। তবে কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রার্থীকে স্বেচ্ছা প্রদত্ত দান করতে পারবে।
১১ এপ্রিল দেশের ৩৭১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময় ১৮ মার্চ। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মার্চ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৪ মার্চ।
দেশের অন্যান্য ইউপিতে পর্যায়ক্রমে কয়েকটি ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
ইইউডি/এইচএডি/