ঢাকা: আসন্ন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণয়ের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
একজন যুগ্ম জেলা জজ ও একজন সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজের সমন্বয়ে গঠিত হবে এই কমিটি, যারা ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব মোছা. শাহীনুর আক্তার তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছেন।
এতে বলা হয়েছে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদের ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ শূন্য আসনে সংসদ
সদস্য নির্বাচনের জন্য গত ৩ মার্চ তফসিল ঘোষণা করেছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ এপ্রিল (রোববার) ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি (Electoral Engiry Connaittee) গঠন করার বিধান রয়েছে।
এ অবস্থায়, শূন্য ঘোষিত ২৭৫ লক্ষ্মীপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে একজন যুগ্ম জেলা জজ ও একজন সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি (Electoral Enquiry committee) গঠন করা প্রয়োজন। যে কমিটি ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে।
তদন্ত কমিটিতে ওই নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে একটি নির্বাচনী তদন্ত কমিটির জন্য একজন ‘যুগ্ম জেলা জজ এবং একজন সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজ (নাম ও পদবী উল্লেখপূর্বক)- মনোনয়ন দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
এ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুল। গত ২৮ জানুয়ারি কুয়েতের ফৌজদারি আদালত পাপুলকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করায় তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনটি ২২ ফেব্রুয়ারি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। আসন শূন্য ঘোষণা গেজেট নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হলে গত ৩ মার্চ উপ-নির্বাচনের তফসিল দেয় ইসি।
শূন্য আসনে নির্বাচনের বিধান অনুযায়ী, ২৮ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ভোটগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রে আগামী ২৮ এপ্রিল নব্বই দিন পূর্ণ হবে। এর আগেই আসনটিতে উপ-নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগ এনে ২০২০ সালের ৭ জুন আটক করেছিল। তারপর বিচারকাজ শেষে দেশটির আদালত ২৮ জানুয়ারি রায় দেন। তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২১
ইইউডি/এএ