ঢাকা: ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রথম ধাপের নির্বাচন শান্তপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ভোটের এলাকায় ৫৪ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার জন্য সব ধরনের যন্ত্রযান ও নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সংস্থাটি।
আগামী ১১ এপ্রিল দেশের ইউপিগুলোতে ভোটগ্রহণ শুরু করছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে প্রতীক নিয়ে প্রার্থিরা প্রচারে নেমেছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭৩ প্রার্থীসহ প্রায় দেড়শ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পৃথক দু’টি নির্দেশনা ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের নির্বাচন কমিশন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে- প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে বিশেষ কয়েকটি যানবাহন যথা- মোটরসাইকেল, বেবি ট্যাক্সি, মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপ ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। একইভাবে এবারও নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ আগামী ১০ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা থেকে ১১ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত পিকআপ, ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে আগামী ৯ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা থেকে ১২ এপ্রিল সকাল ৬টা পর্যন্ত। অর্থাৎ ৫৪ ঘণ্টার জন্য ৩৭১ ইউপিতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ।
তবে নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাদের নির্বাচনি এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। আবার নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
অন্যদিকে জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
অন্যদিকে নৌ-পরিবহন সচিবকে পাঠানো নির্দেশনাতেও ইঞ্জিনচালিত নৌকা, লঞ্চ, স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে আগামী ১০ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা থেকে ১১ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২১
ইইউডি/আরবি