যশোর: রাত পোহালেই যশোর পৌরসভার ভোট। প্রথমবারের মতো এ পৌরসভায় ব্যালটের বদলে ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুর থেকে ৫৫টি ভোটকেন্দ্র নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটারা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন।
জানা গেছে, এবার যশোর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মারুফুল ইসলাম (যদিও তিনি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন) ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। ভোটারদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার সব ধরনের ব্যবস্থা রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যশোর পৌর সভায় এক লাখ ৪৬ হাজার ৫৯৪ জন ভোটার এদিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ৫৫টি কেন্দ্রে ৭৯টি বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য ২৩৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের লক্ষ্যেেএক হাজার ২শ’ মতো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ২২ জন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট ও এক জন করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া তিন প্লাটুন বিজিবি এবং র্যাবের তিনটি দল টহলে থাকবে। ৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা যদি বিরূপ মনে হয়। তাহলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আরো বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা।
যশোর জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, যশোর পৌরসভার নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁচ্ছে গেছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) নির্বাচনী সরঞ্জাম। যশোর পৌরসভার ৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এ লক্ষ্যে ৪৭৯টি ইভিএমসহ অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য অতিরিক্ত আরো ৫০ শতাংশ ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া করোনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে সব কেন্দ্রেই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
ইউজি/আরআইএস