বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও চিতলমারী উপজেলায় পৃথক নির্বাচনী সহিংসতায় ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) সকালে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কাননচক বাজারে এবং মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নের পঞ্চকরণ গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে পঞ্চকরণ ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী নুরুল আমিন শিকদারের বাড়িতে হামলা চালায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নুরুল হক তালুকদার ও তার সমর্থকরা। এতে প্রার্থী নুরুল আমিন শিকদার (৫৫) গুরুত্বর আহত হন।
আহত নুরুল আমিন শিকদার বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নানাভাবে আমাকে হয়রানি করে আসছে। রাতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল হক তালুকদারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন লোক এসে আমার ঘরবাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এসময় বাইরে এসে ভাঙচুরের কারণ জানতে চাইলে তারা আমাকেও মারধর করেন। আমি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।
এদিকে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে চিতলমারীর কাননচক বাজারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন সিদ্দিকীর কর্মীদের ওপর হামলা করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাদশা শেখের সমর্থকরা। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী নাজু শেখ (৪০), তাসেক শেখ (৫০), রুবেল শেখ (৪২) গুরুত্বর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গোপালগঞ্জ এবং পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী বলেন, বাদশা শেখ এর আগেও আমার ও আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
বাদশা শেখ দাবি করেছেন মারামারির ঘটনায় হাফিজ শেখ (৩৫) এবং আল আমিন শেখ (২০) নামের দুই কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের টুঙ্গিপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক বাংলানিউজকে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২১
এনটি