ঢাকা: জনসাধারণের সেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর একটি প্রকল্প কয়েক বছর আগে হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ প্রকল্পে স্মার্টকার্ড বা ইভিএমের প্রকল্পের তুলনায় তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন একটি সভা ডাকেন ইসি সচিব। আর এতেই বিষয়টি ওঠে আসে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালীকরণ (এসসিডিইসিএস) প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব তেমন কোনো অগ্রগতি নেই বললেই চলে। যে পরিমাণ প্রশিক্ষণ হওয়া দরকার, তা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের অগ্রগতি থমকে আছে।
ইসি সচিব স্বাক্ষরিত ওই সভার কার্যবিবরণীতেও প্রকল্পের অগ্রগতিতে গতি না থাকার বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে- সভায় যুগ্মসচিব (উন্নয়ন) ও এসসিডিইসিএস প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি উপস্থাপনপূর্বক অবহিত করেন যে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত এসসিডিইসিএস প্রকল্পের অনুকূলে মােট ব্যয় ৪৩ দশমিক ৮৪ লাখ টাকা, যা আরএডিপি বরাদ্দের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
অপরদিকে, জুলাই ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত প্রকল্পের অনুকূলে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা মােট প্রকল্প ব্যয়ের ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
কর্মকর্তারা বলছেন, গত কয়েক বছরে সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ তেমন হয়নি। এসসিডিইসিএস প্রকল্পের আওতায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং এর আওতাধীন মাঠপর্যায়ে কর্মরত ১০০ জন কর্মকর্তাকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যেখানে ইসির প্রায় হাজার খানেকের মতো কর্মকর্তা রয়েছে।
এছাড়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে দু'বছর মেয়াদি মাস্টার্স অন প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোর্সে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং মাঠপর্যায়ের নির্বাচিত ৫ জন কর্মকর্তা অধ্যয়ন করছেন। অন্যদিকে, ইংরেজি ভাষা দক্ষতা কোর্সে ৬৫ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ওই সভার কার্যবিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক জানান যে, করােনা পরিস্থিতির কারণে এ বছরে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরে প্রকল্পের ব্যয় আশানুরূপ করা সম্ভব হয়নি। তবে এ অর্থবছরে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোর্স এবং আইসিটি সংক্রান্ত কোর্সের কয়েকটি ব্যাচে প্রশিক্ষণ আয়ােজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইসির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত দু'বছর থেকে বড় বড় নির্বাচন হচ্ছে। যেকারণে কর্মকর্তারা ব্যস্ত থাকছে। প্রশিক্ষণ বা সক্ষমতা বাড়ানোর কার্যক্রম ব্যাপক আকারে হাতে না নিতে পারার এটাও একটা কারণ। তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এ বিষয়ে মনযোগ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২১
ইইউডি/ওএইচ/