ঢাকা: করোনা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হলেও ব্যবসায়ীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বাত্মক ‘লকডাউনে’ শিথিলতা এনে দোকানপাট খুলে দিয়েছে সরকার। এমনকি আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের শর্ত সাপেক্ষে যানবাহন চলাচলের অনুমতিও আসতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় সংসদের চারটি নির্বাচন ছাড়া যে নির্বাচনগুলো আছে সবগুলোই স্থানীয় সরকারের। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত দেখেই ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা নির্বাচনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে ভোট পিছিয়ে দিয়েছে ইসি। একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিতে বলেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বরতদের দায়িত্ব পালন করার জন্য সুযোগ দিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকার পরিস্থিতি বিবেচনায় যখন সব অফিস খোলে দেবে এবং নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে তখনই ভোট করা হবে।
ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, ভোট করার জন্য সরকারের অন্যান্য দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজন হয়। তারাই ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজন হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে তাদের নির্বাচনের কাজে লাগানো যাবে না। তাই সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে সরকারের অবস্থান ও পরিস্থিতির উন্নতির উপর।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত ১ এপ্রিল সব নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় ইসি। বর্তমানে দোকানপাট খুলে দেওয়া ছাড়াও যান চালচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ দু’টি বিষয়ের ওপর তো আসলে নির্বাচন নির্ভর করে না। নির্বাচন মানেই জনসংযোগের বিষয় সামনে চলে আসে। তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত আসবে নির্বাচনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
ইইউডি/আরবি