ঢাকা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত কর্মীদের তাৎক্ষণিক সহায়তা দিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে ৩০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের অধীনে গঠিত ৩০ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও এএসএম ইকবাল হাসানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদের সদস্য সচিব ও উত্তরা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কমিটির গঠনের পত্রটির অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশার, ইসি সচিব ও সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আওতাধীন উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও সমপদের কর্মকর্তারা স্মার্ট কার্ড বিতরণ, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তিকরণ, ভোটার স্থানান্তর ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে নিরলস দেশকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ টিকা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রধান অনুষঙ্গ হওয়ায় বর্তমানে এই সেবা সাধারণ জনগণের সংস্পর্শে থেকে সেবা দিতে হচ্ছে। করোনা সুরক্ষা সামগ্রী সঠিকভাবে ব্যবহার করা সত্ত্বেও আমাদের অনেক সহকর্মী কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ইতোমধ্যে দুই জন সহকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আওতাধীন উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও সমপদের কর্মকর্তারা করোনা আক্রান্ত হলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ের সহয়তা পান, সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ১০টি অঞ্চলের উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও সমপদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তাৎক্ষণিক সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদারকি কমিটি গঠন করা হলো।
এই কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে সার্বিক বিষয় অবহিত করবে। কমিটি অনলাইন সভা আহ্বান করে করোনা মোকাবিলায় কীভাবে কর্মকর্তাদের সহায়তা করা যায়, তার কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে এবং প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় কমিটির সহায়তা নেবে। কমিটির সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সদস্য, উক্ত অঞ্চলের কোনো কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হলে তার স্বাস্থ্য বিষয়ক খোঁজ-খবর/তদারকিকরণ ও তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আহ্বায়ককে অবহিত করবে।
২০২০ সালে শুরু হওয়া করোনা মহামারিতে নির্বাচন কমিশন সেবা বন্ধ করেনি। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এবারও নির্বাচন স্থগিত করা হলেও চালু রয়েছে মাঠ পর্যায়ে এনআইডি সেবা। এই অবস্থায় গত এক বছরে ইসির অন্তত ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২১
ইইউডি/এমজেএফ