ঢাকা: জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনেই রাখার জন্য সংস্থাটির কর্মকর্তারা জোর দাবি জানিয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে এজন্য তারা একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন বুধবার (১৯ মে)।
পরে বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নূরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এনআইডি কমিশনের অধীনেই থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে এনআইডি কার্যক্রমের সঙ্গে আমরা জড়িত। আমাদের চাকরি জীবনের প্রায় অর্ধেক এ কাজে ব্যয় করেছি। তাই ইসির অধীনেই এনআইডি অনুবিভাগ রাখার জোর দাবি জানাই।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক-১০ একেএম ফজলুর রহমানের গত ১৭ মে স্বাক্ষরিত এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করা সংক্রান্ত একটি চিঠির অনুলিপি ইসিতে আসার পর কর্মকর্তারা তাদের অবস্থানের কথা জানালো।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে- (১) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাহী বিভাগের দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় বিভিন্ন দেশের উদাহরণের আলোকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগ ওই দায়িত্ব পালনে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বিবেচিত বিধায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত দায়িত্ব সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করার লক্ষ্যে ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামং ডিফারেন্ট মিনস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশন্স’-এ সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বসমূহের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
(২) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০ এ ‘নির্বাচন কমিশন’ এর পরিবর্তে সরকার শব্দ অন্তর্ভুক্তকরণসহ প্রয়োজনীয় সংশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
(৩) সুরক্ষা সেবা বিভাগ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল নির্বাচন কমিশন থেকে সুরক্ষা বিভাগে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ২০০৭ সালে নির্বাচন কমিশন একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলে। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই সংস্থাটি নাগরিকদের একটি পরিচয়পত্রও দেয়। পরবর্তীসময়ে এনআইডি অনুবিভাগ তৈরি করে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় স্মার্টকার্ড প্রকল্পও হাতে নেয়। এজন্য আইন ও বিধি প্রণয়ন করে বর্তমানে ভোটার তালিকার ভিত্তিতে দেশের সব নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ করে আসছে ইসি। সংস্থাটির তথ্য ভাণ্ডারে প্রায় ১১ কোটি ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২১
ইইউডি/এএ