ঢাকা: আসন্ন ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন, ১১ পৌরসভা নির্বাচন ও চারটি জাতীয় সংসদের শূন্য আসনের নির্বাচন লকডাউনের আওতামুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত ২ জুন ভোটের তফসিল ঘোষণার পর ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার ভোটের কার্যক্রম লকডাউনের আওতামুক্ত রাখতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সেই চিঠির ধারাবাহিকতায় এবার জেলা প্রশাসকদের এমন চিঠি দিলেন।
সোমবার (০৭ জুন) তিনি বলেন, আগামী ২১ জুন ৩৭১টি ইউপি, ১১ পৌর, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন আছে। এছাড়া ১৪ জুলাই ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে। এই অবস্থায় নির্বাচনে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) নির্বাচন না করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছে সম্প্রতি। একই সঙ্গে কয়েকজন জেলা প্রশাসক নির্বাচন না করার অনুরোধ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি'র অতিরিক্ত সচিবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমরা লিখিত কোনো চিঠি নির্বাচন না করার জন্য কারো কাছ থেকে পাইনি। তবে কোনো সংস্থা বা বিভাগ যদি লিখিত কোনো চিঠি পাঠায় তবে তা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করবো। কমিশন তখন সিদ্ধান্ত দেবেন।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় সংসদের উপ-নির্বাচনসহ বেশ কিছু স্থানীয় নির্বাচন করেছিল নির্বাচন কমিশন। সে সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল।
গত ৭ মার্চ ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি), ১১টি পৌরসভা, লক্ষ্মীপুর-২ আসনে ১১ এপ্রিল ভোটের তারিখ রেখে তফসিল দিয়েছিল ইসি। করোনার কারণে সে নির্বাচন ভোটগ্রহণের ১০ দিন আগে পিছিয়ে দেন সিইসি। এরপর ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও সিলেট-৩ আসনও শূন্য হয়। এখন সবগুলো নির্বাচন পেছানোর আর কোনো সুযোগ না থাকার যুক্তি তুলে ধরে গত ২ জুন ভোটের তারিখ দেয় ইসি।
৩৭১টি ইউপির মধ্যে ১২০টির মতো ইউপি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয়, যেসব জেলায় করোনা সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি রয়েছে। যে কারণে ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
ইইউডি/এনটি